প্রত্যেকটি সিগারেটেই সতর্কবার্তা লেখার চিন্তাভাবনা

৩ কোটি ৮০ লাখ জনসংখ্যার দেশ কানাডায় ৪০ লাখের বেশি মানুষ নিয়মিত বা অনিয়মিতভাবে ধূমপান করে থাকে।হেলথ কানাডার তথ্যানুযায়ী, ধূমপান বা তামাকের ব্যবহারের কারণে কানাডায় প্রতি বছর ৪৮ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে।কানডার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জিন-ইভেস ডুকলোস বলেন, নতুন কৌশলের মাধ্যমে আমরা ২০৩৫ সালের মধ্যে তামাক ব্যবহার ১৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশে নিয়ে আসার জন্য কাজ করছি।

কানাডায় ২০০১ সাল থেকে সিগারেটের প্যাকেটে ছবি সংবলিত সতর্কবার্তা চালু করা হয়। কিন্তু এর মাধ্যমে সরকার যতটুকু সাড়া পাওয়ার আশা করেছিল, ততটা কার্যকর ফল পাওয়া যায়নি।মন্ত্রী ক্যারোলিন বেনেট বলেন, এখন অনেক প্যাকেটেই ধূমপানের ক্ষতিকারক প্রভাব সম্পর্কিত তথ্যের পাশাপাশি ছবিও ছাপানো হয়। কিন্তু ব্যবহারকারীরা বছরের পর বছর ধরে এটি দেখতে দেখতে এগুলোর সাথে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। ফলে তারা এটি পাশ কাটিয়ে যায়।

ধূমপানের ক্ষতিকর দিকটি যেন কারোই চোখ এড়িয়ে না যায়। তারা আশা করছে, সিগারেট এবং অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্যের টিপিং পেপারে এরকম লেবেল লাগালে স্বাস্থ্য সতর্কতাগুলো এড়িয়ে যাওয়া কার্যত অসম্ভব হয়ে যাবে।বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এখন সিগারেটের প্যাকেটের ওপর সতর্কবার্তা ছাপানো থাকে। এমনকি অনেক দেশে প্যাকেটের ওপর ধূমপানজনিত কিছু রোগের পরিণতির ছবিও থাকে। তারপরও সতর্ক হচ্ছে না ধূমপায়ীরা। তাই ধূমপায়ীদের আরো সতর্ক করতে সিগারেটের প্যাকেটের পাশাপাশি এখন প্রত্যেকটি সিগারেটেই সতর্কবার্তা লেখার চিন্তাভাবনা করছে তারা। এর মাধ্যমে ধূমপান কমতে পারে বলে প্রত্যাশা কানাডা সরকারের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *