লক্ষ্মীর ভান্ডারে নাম তোলা আরও সহজ করলো রাজ্য

লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য নথি সংক্রান্ত নিয়মে সরলীকরণ আনল রাজ্য। এখন থেকে আর শুধুমাত্র স্বাস্থ্য সাথী কার্ড, আধার কার্ড অথবা জাতিগত শংসাপত্রের নিরীখেই কাউকে এই প্রকল্পের সুবিধা থেকে বাদ দেওয়া হবে না। যদি কেউ সুবিধা পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হন, তাহলেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য নাম নথিভুক্ত করা যাবে।মূলত স্বাস্থ্য সাথী কার্ড সহ এই নথিগুলি না থাকলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য এতদিন আবেদনপত্র পাঠানো যাচ্ছিল না। তার জেরে প্রচুর আবেদন অসম্পূর্ণ পড়ে থাকছিল। তার জন্যই এই নিয়মে সরলীকরণ আনা হয়েছে বলে রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর।

যদি কেউ স্বাস্থ্য সাথী কার্ড বা জাতিগত শংসাপত্র কিংবা আধার কার্ড না পেয়ে থাকেন, কিন্তু তাদের অন্যান্য তথ্য যাচাই করে যদি দেখা যায়, তাঁরা প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হন, তাহলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে জন্য অনুমোদন দিতে পারবে জেলাগুলি। আজ এই নির্দেশিকা জারি করেছে নারী ও শিশু কল্যাণ দফতর।
তৃতীয়বার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার আগে এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নামক প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

গত অগস্টে জানিয়েছিলেন, সেপ্টেম্বর মাস থেকেই ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের লাভ পেতে শুরু করবেন বাংলার মহিলারা। তবে তার আগে নাম নথিভুক্ত করাতে হবে। তার জন্য অগস্ট মাসে ফের একবার দুয়ারে সরকারের আয়োজন করেছে রাজ্য। এই প্রকল্পের মাধ্যমে তফসিলি ও আদিবাসীদের মাসে ১০০০ টাকা এবং জেনারেল ক্যাটাগরির মহিলাদের মাসে ৫০০ টাকা করে হাত খরচ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, গতকালই এক কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পে প্রাপকের সংখ্যা। এক কোটির বেশি মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসের টাকা ঢুকে গিয়েছে। এই প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের খরচ হয়েছে ১০৮২ কোটি টাকা। বাকি ৫৯ লাখ মহিলার অ্যাকাউন্টে অতি দ্রুত টাকা পৌঁছে দেওয়ার জন্য জেলাশাসকের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী।

যে কোনও মহিলাই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। তবে নবান্নের তরফে জানানো হয়েছিল, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হতে গেলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, আধার কার্ড এবং অন্য জাতিভুক্ত হলে সেই জাতির শংসাপত্র থাকা বাধ্যতামূলক। এবার রাজ্য সরকারের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, সেই নিয়ম কিছুটা শিথিল করা হয়েছে।

২৫ থেকে শুরু করে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত সমস্ত মহিলারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। মূলত তপশিলি জাতি-উপজাতি মহিলাদের জন্য মাসে ১০০০ টাকা ও সাধারণ মহিলাদের জন্য মাসে ৫০০ টাকা করে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। তবে পুজো উপলক্ষে এবার ২ মাসের টাকা একসঙ্গে দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *