” ডিভিসির ” থেকে ক্ষতিপূরণ চাইতে হতে পারে বললেন মুখ্যমন্ত্রী

বিগত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও তারপরেই ডিভিসির ছাড়া জলে রাজ্যের একাধিক জেলায় ভয়াবহ আকার ধারন করেছে বন্যা পরিস্থিতি। শনিবার দুপুরে বন্যাকবলিত হুগলির আরামবাগ ও কালীপুর পরিদর্শনে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে অতর্কিত জল ছাড়ার জন্য ডিভিসি-কে দোষারোপ করে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।

শনিবার বেলা ১২টা নাগাদ হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়াম থেকে কপ্টারে হুগলির আরামবাগে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে সড়ক পথে যান কালীপুর। প্লাবন পরিস্থিতি পরিদর্শন কালে তাঁর অভিযোগ, “হঠাত্‍ না বলে ১২টার সময় জল ছাড়া হয়েছে। তার জেরে পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, হুগলি, হাওড়া এবং বীরভূম এই আট জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা ডিভিসি-র জলে প্লাবিত হয়ে গিয়েছে।”

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “আগের বার জুলাই মাসে যে বন্যা হয়েছিল তাতে ওরা জল ছেড়েছিল ১.১২ লক্ষ কিউসেক। আর এ বার যদি দেখেন, ওরা সাড়ে ৫ লক্ষ কিউসেকের বেশি জল ছেড়েছে। একে তো বৃষ্টি, তার উপর জল ছেড়েছে। জলের উপর জল। রাজ্যকে কিছু জানায়নি।” এরপরেই মমতার হুঁশিয়ারি, “সব টাকা জলে যাচ্ছে। না হলে এমন দিন আসতে পারে যে ডিভিসি-র থেকেও ক্ষতিপূরণ চাইতে হতে পারে।

ক্ষোভ বাড়ছে। আমি চাই না ক্ষোভ বাড়ুক।”

প্লাবন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দেন, “এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ মিলিয়ে মোট ৫০টি দল উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে। আমরা নবান্ন থেকে চব্বিশ ঘণ্টা নজরদারি চালাচ্ছি।” বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *