ভুয়ো সাংবাদিক ধরতে পুলিশকে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
উত্তরবঙ্গ সফরে এসে ভুয়ো সাংবাদিক নিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধুমাত্র ফেসবুক পেজ অথবা ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে যাঁরা নিজেদের সাংবাদিক বলে দাবি করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশকে পদক্ষেপ করতে বলেছেন তিনি। এ নিয়ে প্রেস ক্লাবগুলিরও সহযোগিতা চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।বুধবার জলপাইগুড়িতে তিনি বলেন, ”পুলিশকে বলব, নাকা চেকিংয়ের মাধ্যমে ভুয়ো গাড়ির উপর নজরদারি চলুক। অনেকে গাড়িতে স্টিকার লাগিয়ে সরকারি আধিকারিক, সাংবাদিক বলে পরিচয় দিচ্ছেন। ওই সব ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক পুলিশ।”
সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সময় তোলাবাজি ও প্রতারণার অভিযোগ ওঠে অনেকের বিরুদ্ধে। পরে দেখা যায়, সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের পরিচয় ভুয়ো। তিনি কোনও প্রতিষ্ঠিত এবং সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত সংস্থায় কাজ করেন না। এ সব নিয়ে একাধিক বার সরব হয়েছে প্রেস ক্লাবগুলি। এ বার খোদ মুখ্যমন্ত্রী তা নিয়ে সরব হওয়ায় খুশি তারা। ধূপগুড়ি প্রেস ক্লাবের সম্পাদক সপ্তর্ষি সরকার বলেন, ”এখন অনেকে যেমন ভুয়ো আইপিএস অফিসার, সিবিআই অফিসার সেজে প্রতারণা করেন, তেমনই ভুয়ো সাংবাদিক পরিচয়েও অনেকে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করেন। এর আগে আমরা এ নিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। এ বার মুখ্যমন্ত্রী বললেন।”
আবার জলপাইগুড়ি প্রেস ক্লাবের সম্পাদক শান্তনু করের কথায়, ”যে সমস্ত স্বঘোষিত সাংবাদিক রয়েছেন, তাঁরা আমাদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। কারণ, অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে চ্যানেল তৈরি করে নিজেদের সাংবাদিক বলে দাবি করেন। প্রশাসনের উচিত তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা। তাই মুখ্যমন্ত্রী যে কথা বলছেন সেটাকে আমরা সমর্থন করি।”
ভুয়ো সাংবাদিক ধরতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। এ নিয়ে জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত জানান, পুলিশের তরফে জেলায় সব সময় নজরদারি চলছে। ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি থানাগুলিকেও বলা হয়েছে গাড়িতে প্রেস স্টিকার লাগানো দেখলে তা খতিয়ে দেখার জন্য।