হিন্দুস্থান কেবলস কারখানার বকেয়া রয়ে গেছে আজো

২০১৭ সালে বন্ধ হয়ে যায় হিন্দুস্থান কেবলস কারখানা  কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ তথা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে শ্রমিকদের বকেয়া রয়ে গেছে আজো

২০১৭ সালে বন্ধ হয়ে যায় হিন্দুস্থান কেবলস কারখানা  কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ তথা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে শ্রমিকদের বকেয়া রয়ে গেছে আজো ৷ কারখানা বন্ধের সাথে সাথে ৫২৫ কর্মী ও প্রচুর অস্থায়ী কর্মী বেকার হয়ে পড়ে ৫২৫ কর্মীকে ভিআরএস দেওয়া হলেও কর্মীদের সূত্রে দাবি তাদের কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে বকেয়া রয়েছে ৫৬ কোটি  এছাড়াও ৬০ বছরে অবসরের নিয়ম কে বদলে ৫৮ বছর করার প্রেক্ষিতে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে আন্দোলন ও কোর্ট কেস করা হয় ৷

যার রায় শ্রমিকদের পক্ষে গেলেও ২ বছরের বেতন বকেয়া রয়েগেছে ৷ পাশাপাশি কারখানা বন্ধ করার ঘোষণার সাথে পানীয় জল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয় ৷ এর প্রেক্ষিতে শ্রমিকেরা সমবেত ভাবে হিম্দুস্থান কেবলস পুনরবাসন কমিটি গড়ে তোলে ৷ একই সাথে বকেয়া আদায়ের দাবি সহ বন্ধ কারখানার জমিতে শিল্প কারখানা গড়ে তোলার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে ৷ একই সাথে স্থানীয় বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় ও আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহার কাছে আবেদন জানায় বন্ধ কারখানার শ্রমিকদের দাবিতে বিধায়ক সাথে সাথে পানীয় জল ও বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করেন ৷ তবে শ্রমিকদের দাবি মেনে বন্ধ কারখানার জমিতে শিল্প গড়ে তোলার বিষয়ে বলেন, হিন্দুস্থান কেবলস বন্ধ করার পাশাপাশি কেন্দ্রের সরকার কারখানার যাবতীয় জিনিষ বিক্রি করে দিয়েছে ৷

ফলে নতুন করে কেবলস কারখানা চালু করা সম্ভব  নয় তবে বন্ধ কারখানার জমিতে যাতে নতুন কোনো শিল্প হয় তার জন্যে চেষ্টা করা হচ্ছে ৷ সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা শপৎ গ্রহণের পরেই এই বিষয়ে দিল্লীতে আওয়াজ তোলা হবে অন্যদিকে কেবলস পুনরবাসন কমিটির পক্ষ থেকে সুভাষ মহাজন বলেন, তাদের দাবি যেমন শ্রমিকদের বকেয়া আদায়ের প্রতি, তেমনই কেন্দ্র যদি এখানে শিল্প করতে না চায় তাহলে রাজ্যকে জমি হস্তান্তর করুক ৷ রাজ্য সরকার বন্ধ কারখানার জমিতে শিল্প গড়ে তুলতে উৎসাহী ৷ যেই কারণে ভূমি দফতর থেকে কিছুদিন আগেই বন্ধ কারখানার জমি মাপজোখ করা হয়েছে ৷ পাশাপাশি ফ্রেট করিডরের নামে রেল যে উচ্ছেদের ভয়াবহ বাতাবরণ তৈরী করেছে, তার আগে যেন যথাযথ পুনরবাসনের ব্যবস্থা করা হয় ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *