স্ত্রী ছেড়ে চলে যাওয়ায় ২১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ খুঁটিতে উঠে বসলেন সুখরাম
নাম তাঁর সুখরাম। কিন্তু মনে বিন্দুমাত্র সুখ নেই তাঁর। কারণ, তাঁর স্ত্রী। প্রচুর নেশা করেন বলে স্ত্রী সুখরামকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন। মেজাজ হারিয়ে মদ্যপ অবস্থায় তাই ২১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের খুঁটিতেই চড়ে বসেন সুখরাম! রবিবার, আসানসোলের সালানপুরে এমনই অভিনব ঘটনার সাক্ষী থাকলেন এলাকাবাসী।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সুখরাম আসানসোলের সালানপুর থানার রামডি গ্রামের বাসিন্দা।
পেশায় শ্রমিক সুখরাম যা আয় করেন তার অর্ধেক চলে যায় নেশায়। প্রায়দিনই মদের নেশায় চূড় হয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। এই নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে প্রতিদিন অশান্তিও হয়। সুখরামের এই মদের নেশা ছাড়াতে পারেননি তাঁর স্ত্রী। তাই অতিষ্ঠ হয়ে শেষে বাপের বাড়ি চলে যান তিনি। শোক সামলাতে পারেননি সুখরাম। মনের দুঃখে আরও মদ্যপান করে রীতিমতো নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সকলের অলক্ষ্যে ২১ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক খুঁটিতে চড়ে বসেন তিনি।
রবিবার, দুপুরে আচমকা একজনকে বৈদ্যুতিক খুঁটি বাইতে দেখে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে। সকলে চিত্কার করে সুখরামকে নেমে আসতে বলেন। কিন্তু, কাকস্যপরিবেদনা! সুখরাম তো নামলেনই না। উপরন্তু আরও উঁচুতে উঠে যেতে লাগলেন বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। একটু এদিক-ওদিক হলেই মৃত্যু আসন্ন। কিন্তু তাতে ভ্রুক্ষেপ নেই সুখরামের!
স্থানীয় এক গ্রামবাসীর কথায়, “আমরা সুখরামের কীর্তি দেখে অভ্যস্ত। রোজ গলা অবধি নেশা করে এসে কিছু না কিছু কাণ্ড ঘটায়। তাই ওঁর বউ ছেড়ে চলে গিয়েছে। ওইজন্য মেজাজ হারিয়ে খুঁটিতে চড়ে বসেছিল সুখরাম। নেশা কাটতে নিজেই সুড়সুড়িয়ে নীচে নেমে এসেছে। তবে ওঁ যে হাইটেনশন টাওয়ারে চড়ে বসবে এটা আমরা কেউ ভাবিনি।”
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অবশেষে সালানপুর থানায় খবর দেন এলাকাবাসী। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ। এদিকে, পুলিশ পদক্ষেপ করার আগেই নেশা কেটে যায় সুখরামের। তারপরে নিজেই ধীরে ধীরে গুটি গুটি নেমে আসেন নীচে। পুরোপুরি অক্ষত অবস্থায়। বুকে প্রাণ ফিরে পান এলাকাবাসী। এরপরেই সালানপুর পুলিশ তাঁকে আটক করে। খবর দেওয়া হয়েছে সুখরামের স্ত্রীর বাপের বাড়িতেও।