প্রচারে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি সুজন চক্রবর্তীর

রবিবারের সকালটাকে বেছে নিয়েছেন বামফ্রন্ট মনোনীত সিপিআইএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস। সেখানে প্রচারে গিয়েছেন প্রার্থী-সহ সিপিআইএম নেতারা। কিন্তু তাঁরা বিজেপির পথকেই বেছে নিয়ে গোলমাল করতে শুরু করলেন সিপিআইএম নেতারা। পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কি থেকে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়লেন তাঁরা।পরিস্থিতি একেবারে ধুন্ধুমার হয়ে ওঠে। উপনির্বাচনকে ঘিরে এমন অবস্থা হবে ভাবতে পারেননি অনেকে।

সিপিআইএমের অভিযোগ, আজ শ্রীজীব বিশ্বাসের প্রচারে সিপিআইএম কর্মী-সমর্থকদের বাধা দিয়েছে পুলিশ। এমনকী সুজন চক্রবর্তীকে প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। তখনই সপ্তমে ওঠে দু’পক্ষের তর্কাতর্কি। সেটা ধস্তাধস্তিতে গড়ায়। পুলিশের পাল্টা অভিযোগ, কোভিড-বিধি লঙ্ঘন করে প্রচার করছিলেন সিপিআইএম নেতা-কর্মীরা। তাই প্রচারে বাধা দেওয়া হয়েছে।

ভবানীপুর উপনির্বাচনে বিজেপি বারবার দাবি করে এসেছে পুলিশ তাদের প্রচারে বাধা দিচ্ছে। এমনকী তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দফতরে নালিশ ঠুকেছে তারা। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল থেকে শুরু করে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। এবার একই পথে হাঁটলেন সুজন চক্রবর্তী থেকে প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস। এখানে ৩০ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচন।

এদিন দেখা যায় অনেকেই মাস্ক না পরে প্রচারে বেরিয়েছেন। সেটা দেখে পুলিশ মাস্ক পরার পরামর্শ দেয়। তারপর এত মানুষ নিয়ে প্রচার, কোভিড-বিধি লঙ্ঘন হচ্ছে বলেও পুলিশ এগোতে দেয় না তাঁদের বলে দাবি পুলিশের। তখনই তর্কাতর্কি শুরু হয়। ওই অবস্থায় প্রচার করতে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে ঢুকতে যান তাঁরা। অভিযোগ, তাতে বাধা দেয় পুলিশ। আর বাধা পেয়েই সিপিআইএম কর্মী-সমর্থকরা মেজাজ হারান। আর ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যান। তাতে বাধা দেয় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় সুজন চক্রবর্তীর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *