দূষণের জেরে দুর্ভোগ
রানীগঞ্জের মঙ্গলপুর শিল্প তালুকের বেশ কিছু কল কারখানার দূষণ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র সঠিকভাবে চালু না
রানীগঞ্জের মঙ্গলপুর শিল্প তালুকের বেশ কিছু কল কারখানার দূষণ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র সঠিকভাবে চালু না থাকার কারণে রানীগঞ্জের বল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নুপুর এলাকায় চাষবাসের জমি ও চাষের ফসল একদিকে যেমন দূষণের জেরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সেখানেই দীর্ঘদিন ধরেই নুপুর এলাকার আগেই অবস্থিত, বল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বক্তানগর গ্রামবাসীকে ব্যাপকভাবে দূষণের জেরে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বহু মানুষ রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে যা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দলের সদস্যদের সাথে গ্রামীণেরা কথা বললেও সমস্যা সমাধান হয়নি। এবার বিজেপির নেত্রী, তথা ওই অঞ্চলের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল কে এ বিষয়ে অভিযোগ জানানোর পর শনিবার গ্রামীণদের মাঝে তাদের অভিযোগ শুনতে হাজির হলেন তিনি। এদিন সংবাদ মাধ্যমের কাছে তিনি দাবি করেন এখানে যে পাঁচটি কারখানা রয়েছে, তার দূষণের জন্যই এলাকাবাসীকে ভুগতে হচ্ছে। প্রতি মাসে পাঁচ জন মানুষ মারা যাচ্ছে বলে জানান। এদিন তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, দূষণ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র অবিলম্বে চালাতে হবে। আর তা না হলে তিনি, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই পৌঁছে ফ্যাক্টরি গেটের সামনে ধর্নায় বসবেন।
একি সাথে তিনি কলকাতায় অখিলেশ যাদবের বৈঠক প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে জানান, সমস্ত ভারতবর্ষের ডাকাত, চোর, চিটিংবাজ আজ একত্রিত হয়েছে। শুধুমাত্র মোদিকে হাঁরিয়ে কিভাবে চুরি করবে তার প্রস্তুতি নিচ্ছে, সেটা কখনোই হবে না। এর আগে ২০১৯ এ ও এমনটা করতে দেখা গেছে। তার দাবি বাংলার মানুষকে, মমতা ব্যানার্জি ঠকিয়েছেন। সাধারণ মানুষের চাকরি চুরি করেছেন। আপনার আর, আপনার দলের কোন ক্ষমা নেই। আপনাকে এজন্য ভুগতে হবে। গোয়া, ত্রিপুরা, মেঘালয়, নাগাল্যান্ডে শূন্য পেয়েছেন। এই বলে তিনি দাবি করেন আপনার ও আপনার সরকারের যে চুরির কীর্তি তা সারা ভারতের লোক জেনেছে। যা লজ্জার বিষয় এই বাংলার জন্য।
একইভাবে তিনি সিভিক ভলেন্টিয়ার দিয়ে প্রাইমারি স্কুলে পড়ানোর বিষয় প্রসঙ্গে, দাবি করলেন। শিক্ষকদের প্রকৃত মাইনে দিতে হবে না, আর সিভিক ভলেন্টিয়ারদের চাকরি অস্থায়ী, তাই যখন খুশি তাদের সরিয়ে দেওয়া যাবে, তাই এমন চিন্তা। এই বলে তিনি জানান পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থার মেরুদন্ড টায় ভেঙে দিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি, যে শিরদাঁড়া ছিল সে শিরদাঁড়া ভেঙেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এই বলে তিনি পরিহাসের সুরে জানান এটাই হল পশ্চিমবঙ্গের এগিয়ে বাংলার মডেল।