পূর্ব বর্ধমান জেলার কোন কোন এলাকা মাইক্রো কন্টেইনমেণ্ট জোন ? দেখে নিন
করোনা সংক্রমণ রুখতে একাধিক জায়গায় মাইক্রো কন্টেইনমেণ্ট জোন ঘোষণা করল বর্ধমান জেলা প্রশাসন (East Bardhaman News)। জেলার পুর এলাকায় কঠোর বিধি নিষেধের মধ্যেই মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন হল জেলার একাধিক জায়গায়। বর্ধমান পুরসভার ১, ১২ এবং ২৭ নম্বর ওয়ার্ডকে মাইক্রো কন্টেইনমেণ্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে।
বর্ধমান-১ব্লকের ১ টি এলাকা পাশাপাশি কালনা পুরসভার ১, ৭, ৮, ৯, ১১, ১২, ১৫, এবং ১৮ নম্বর ওয়ার্ডকে মাইক্রো কন্টেইনমেণ্ট জোন বলে ঘোষনা করা হয়েছে। এছাড়াও জামালপুর ব্লকের ৫ টি এলাকা, মেমারী থানার ১ টি এলাকাকে মাইক্রো কন্টেইনমেণ্ট জোন করা হয়েছে।
যে সমস্ত এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি সেই সমস্ত এলাকাকে মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করল জেলা প্রশাসন। জেলায় করোনা সংক্রমণের চেন ভাঙতে এই উদ্যোগ প্রশাসনের (East Bardhaman News)। কড়া বিধিনিষেধের পাশাপাশি বেশকিছু নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে জেলায়।
বর্ধমান শহরের দোকানপাট খোলা নিয়ে জারি করা হয়েছে নয়া নির্দেশিকা। পাশাপাশি মেমারী পুর এলাকায় ৯ জানুয়ারি থেকে আরোপ হল বিধি নিষেধ। যা জারি থাকবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। নয়া বিধি নিষেধে বলা হয়েছে, সোম থেকে শুক্র সকাল ৭ টা থেকে দুপুর ২ টো পর্যন্ত খোলা থাকবে দোকানপাট।
সোমবার থেকে শুক্রবার সকাল ৮ পর্যন্ত পাইকারী বাজার খোলা থাকবে। মিষ্টির দোকান সকাল ১০ টা থেকে সন্ধে ৬ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। সোনার দোকান সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। প্রতি শনি ও রবিবার সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে মার্কেট। পুলিশ প্রশাসন কড়া নজরদারি চালাবে। কেউ নিয়ম লঙ্ঘন করলে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। উল্লেখ্য, শুধু বিধি নিষেধ আরোপ করাই নয়।
প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষকে সচেতনতার বার্তা দিচ্ছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা (East Bardhaman News)। চলছে মাস্কবিহীনদের ধরপাকড়। আক্রান্তদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দিচ্ছেন খাবার। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছেন পুরসভার সদস্যরা। চিকিত্সক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্তদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরীক্ষা করছেন।