আরজি কর হাসপাতাল এত রাক্ষসের একটা জায়গা বুঝতে পারিনি
কাদের আড়াল করার জন্য প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা
আজ তাঁদের বাড়িতে হয়তো পুজোর প্রস্তুতি চলত শেষ মুহূর্তের আলোচনা করা হত,সেই অভিশপ্ত রাতটা না এলে।মেয়েকে স্বপ্নের প্রতিষ্ঠানে ভরতি করার সময়ও ভাবতে পারেননি।দেবীপক্ষের আগের সন্ধ্যায় কান্নায় ভেঙে পড়লেন নির্যাতিতা তরুণীর বাবা।
রবীন্দ্র সদনে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন, ‘আমি মেয়েটাকে আরজি করে দিয়েছিলাম। সে গিয়েছিল রোগী পরিষেবা দিতে, পড়াশোনা করতে। আর সেই প্রিন্সিপাল প্রমাণ লোপাটের দায়ে জেলবন্দী। তার মানে বুঝতে হবে, কোন কোন রাক্ষসের কাছে আমি দিয়েছিলাম আমার মেয়েটাকে। প্রথমে আমরা বুঝতে পারিনি যে আরজি কর হাসপাতাল এত রাক্ষসের একটা জায়গা।’ কাদের আড়াল করার জন্য প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা সন্দীপ ঘোষের?
‘আমার জীবনটাকে তছনছ করে দিয়েছে। শুধু আমার মনে একটা কথা সবসময় (ঘুরপাক খাচ্ছে), ১৪০ কোটি লোকের বাঁচার অধিকার আছে। শুধু আমার মেয়ের বাঁচার অধিকারটা এই দুষ্কৃতীরা ছিনিয়ে নিয়েছে। কত যন্ত্রণা তাকে দিয়েছে।’ বিচারের কোনও প্রসেস দেখতে পাচ্ছি না।আমরা এখনও উত্তর পাইনি কেন প্রমাণ লোপাট করেছে
নির্যাতিতার বাবা প্রশ্ন তুলেছেন কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে।’আমরা যখন আরজি কর হাসপাতালে পৌঁছেছি, আমাদের সারাদিন ওই অবস্থার মধ্যে সেমিনার রুমের গেটের বাইরে অপেক্ষা করতে হয়েছ। সেইসময়টা যে কি অস্বস্তিকর ছিল, আমি জীবনে কোনওদিন সেটা কাউকে বোঝাতে পারব না। আর ভুলতেও পারব না।’ কথাগুলো বলতে-বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
ন্যায়বিচার ছিনিয়ে আনবেন সকলে বলে বিশ্বাস আছে তাঁর মার ।সিবিআই এবং সুপ্রিম কোর্টের উপরে আস্থা আছে বলে জানিয়েছেন তরুণী চিকিৎসকের বাবা।