মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী প্রিয়া মাহাতো পূর্ব বর্ধমানের মেমারির বৈদ্যডাঙ্গা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে হওয়া পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে। নিজের স্কুলের ড্রেসের পরিবর্তে প্রিয়া যখন অসৌচের লালপাড় সাদা শাড়ি পরিহিত হয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে বসছে তখন পরীক্ষা কেন্দ্রের পরিবেশও যঠেষ্ট আবেগঘন হয়ে পড়ছে।প্রিয়ার বাবা অনেক বয়সে মারা গেছেন এমনটা নয়। কিডনির রোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্রর ৩৮ বছর বয়সে প্রিয়ার বাবা মারা যান।এত অল্প বয়সে বাবার মৃত্যু হওয়ায় প্রিয়া সহ তাঁর পরিবারের সবাই গভীর ভাবে শোকাতুর হয়ে পড়েছেন ।
প্রিয়ার কথায় , তাঁর বাবাই ছিলেন,তাঁর বড় অনুপ্রেরণা। বাবার স্বপ্ন ছিল তাঁর মেয়ে প্রিয়া যেন ভালকরে পড়াশোনা করে মাধ্যমিক সহ জীবনের সকল পরীক্ষায়সফল ভাবে উত্তির্ণ হয়ে এগিয়ে যায় জীবনে।বাবার সেই স্বপ্নই পূরণ করতেই তাই বাবার শোক বুকে নিয়ে প্রিয়া পরীক্ষা দিতে বসেছে। বাবার শেষ ইচ্ছে পূরণের প্রিয়াও যেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।পরীক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিত শিক্ষক সহপাঠী ও অন্য পরীক্ষার্থীরর অভিভাবকরা প্রিয়ার এই মানসিক দৃঢ়তা দেখে বিস্মিত ও গর্বিত।প্রিয়ার বন্ধুরাও তাঁকে সমর্থন জানিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে। সবার একটাই আশা—প্রিয়া মাধ্যমিকে ভালো ফল করে ওয়হর বাবার স্বপ্নপূরণ করুক।

Read more – আশা ভোঁসলের জীবন কাহিনী

১৬০ বছরের ঐতিহ্যবাহী ব্রহ্মা পুজো: আগুন থেকে মুক্তির আশায় উচালনের তামলিপাড়ার বিশেষ আয়োজন।পূর্ব বর্ধমানের উচালনের দীঘির পাড়ে অবস্থিত তামলিপাড়া, যা বাজারপাড়া নামেও পরিচিত। এই অঞ্চলের মানুষজন প্রায় ১৬০ বছর আগে গ্রীষ্মের দাবদাহে ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ডের হাত থেকে রক্ষা পেতে এক বিশেষ পুজোর প্রচলন করেন, যার নাম ব্রহ্মা পুজো।স্থানীয় বাসিন্দাদের বিশ্বাস, পুরাণ অনুযায়ী সৃষ্টি, স্থিতি ও প্রলয়ের দেবতা ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরকে একত্রে পুজো করলে অগ্নিকাণ্ডের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
Read more – বাজারে আগুন ধরা নিয়ে বিস্ফোরক অর্জুন
সেই বিশ্বাস থেকেই তামলি সম্প্রদায়ের উদ্যোগে শুরু হয় এই ব্রহ্মা পুজো।প্রতি বছরের মতো এবছরও এই পুজো উপলক্ষে উচালন তামলিপাড়া থেকে এক পদযাত্রার মাধ্যমে ঘট উত্তোলন করা হয়। সারাদিন ধরে চলে বিশেষ পূজা-অর্চনা ও হোমযজ্ঞ। এই পুজোর অন্যতম আকর্ষণ হলো প্রায় ৪০০০ মানুষকে অন্ন ভোগ খাওয়ানো। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, বেশ কয়েকদিন ধরে জাঁকজমকপূর্ণভাবে এই পুজো অনুষ্ঠিত হবে।
তামলিপাড়ার বাসিন্দা উৎপল দত্ত জানান, এই পুজো তাদের কাছে দুর্গাপুজোর চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় আত্মীয়-স্বজনে ভরে ওঠে প্রতিটি বাড়ি। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজন এই পুজোয় যোগ দিতে গ্রামে ফিরে আসেন।এই ব্রহ্মা পুজো শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি তামলিপাড়ার মানুষের ঐক্য ও ঐতিহ্যের প্রতীক