রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আলু চাষীরা পাচ্ছেন টাকা
ডিসেম্বর মাসের শুরুতেই অকাল বর্ষণে আলুচাষিদের প্রচুর ক্ষতি হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত আলুচাষিদের বাংলা শস্যবিমা প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে চালু করা বাংলা শস্য বিমা প্রকল্পটি রাজ্যের কৃষি ক্ষেত্রে বিরাট পরিবর্তন এনেছে।খরিফ এবং রবি বোরো মরশুমে প্রতিটিতে ৫০ লক্ষের বেশি কৃষক এতে নাম নথিভুক্ত করেন।
এই বিমার সুবিধা নেওয়ার জন্য অধিকাংশ ফসলের ক্ষেত্রে কোনো প্রিমিয়ামের টাকা দিতে হয় না। এই বিমা প্রকল্পের নাম অন্তর্ভুক্ত করার বর্ধিত শেষ দিন ছিল শনিবার। তার আগেই ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা নির্ধারণের কাজ শুরু করে দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত কৃষি বিমা সংস্থা। সদ্য শেষ হওয়া বছরের শস্য বিমা প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের প্রায় ২০ লক্ষ কৃষক ৩৪৭ কোটি টাকা পেয়েছেন।
এই খরিফ মরশুমে বন্যার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্ষতিপূরণের টাকা খুব শীঘ্র পেতে চলেছেন। ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের কাজ এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যাবে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের। আলুর ক্ষেত্রেও বীজ লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে অতিবৃষ্টিতে যে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে তাতে ক্ষতিপূরণ মিলবে।