বাঁকুড়া জেলায় পুলিশি অভিযান চালিয়ে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার বাজি উদ্ধার

প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় চলছে পুলিশের অভিযান। জেলা পুলিশের বিভিন্ন থানা এলাকায় বাজি বিক্রির ডেরায় হানা দিয়ে গত কয়েক দিনে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার বিভিন্ন ধরনের বাজি উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিষিদ্ধ বাজি বিক্রি ও মজুতের দায়ে জেলায় ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গোপন সুত্রে খবর পেয়ে কখনো ক্রেতা সেজে আবার কখনো বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে জেলার বিভিন্ন বাজারে হানা দিয়ে পুলিশ এগুলি উদ্ধার করেছে বলেই জানিয়েছে জেলা পুলিশ। হাইকোর্টের নির্দেশের পর থেকে বাজি উদ্ধারে বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছে বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। সকাল বিকেল রাতে জেলার বিভিন্ন বাজার এলাকায় বাজি উদ্ধারে তল্লাশি অভিযান জারি রয়েছে পুলিশের।

সব ধরনের বাজিকে নয়। শুধু বেরিয়াম সল্ট-কেমিক্যাল ক্র্যাকার নিষিদ্ধ করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। কারও স্বাস্থ্যের বিনিময়ে নয় উত্‍সব, বলল আদালত। খবর এএনআই সূত্রে। শুক্রবার, দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, সব রকম বাজি নিষিদ্ধ করা হচ্ছে না। আদালত বলেছে, এই নির্দেশিকা কোনওভাবে লঙ্ঘন করা যাবে না। উত্‍সবের আবহে বেরিয়াম সল্ট-কেমিক্যাল কোনও আতশবাজিও পোড়ানোও যাবে না।

এর আগে বৃহস্পতিবার আদালত নির্দেশ দেয়, বাজি পোড়ানো নিয়ে যাবতীয় নিষেধাজ্ঞা মানতে হবে। কারণ, জীবনের অধিকার রক্ষার জন্য এই এই নিয়ম মানতে হবে। আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তারা উত্‍সবের পরিপন্থী নয়। বিচারপতি এমআর শাহ, এএস বোপান্নার বেঞ্চ শুনানিতে বলেন, আমরা কোনও উত্‍সবের আনন্দ বা উদযাপনের পরিপন্থী নই। এই ধরনের উত্‍সবে রাজি নই।

কিন্তু কেউ অন্যের মৌলিক অধিকার নিয়ে খেলা করতে পারে না। পূর্ববর্তী রায়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আদালত বলেছে যে, এই নিষেধাজ্ঞা যাতে সবাই মেনে চলে তার জন্য কড়া হতে হবে প্রশাসনকে।
এদিকে গতবারের নির্দেশিকাই বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। এ বছরের জন্যও রাজ্যের সর্বত্র, সবরকম বাজি নিষিদ্ধ।বাজির কেনাবেচা, প্রদর্শন বা ব্যবহার, কোনওটাই করা যাবে না। এমনটাই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। খারিজ করে দেওয়া হয়েছে পরিবেশবান্ধব বাজি পোড়ানোর আবেদনও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *