বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রুগি আত্মহত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য

বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রুগি আত্মহত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য। মৃতের নাম নয়ন বাগ(৪৪), বাড়ি হুগলির গোঘাট থানার নৃসিংহবাটিতে।

বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রুগি আত্মহত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য। মৃতের নাম নয়ন বাগ(৪৪), বাড়ি হুগলির গোঘাট থানার নৃসিংহবাটিতে। পরিবার সূত্রে জানাগেছে, সোমবার পেটে যন্ত্রণা নিয়ে বর্ধমান মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন নয়ন বাগ। অনুমান করা হচ্ছে; মঙ্গলবার ভোর রাতে হঠাৎ তিনি জরুরী বিভাগের দুতলা থেকে নিরাপত্তা রক্ষীদের চোখ এড়িয়ে নিচে তলায় চলে আসেন তিনি। সেখানেই সম্ভবত  গলায় গাঁমছা দিয়ে আত্মহত্যা করেন নয়ন।

বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরী বিভাগে এতো নিরাপত্তা রক্ষী ও সিসিটিভি ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও কি ভাবে আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটলো বলে প্রশ্ন তুলেছে পরিবার। ঘটনা জানাজানি হতেই হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চলে আসেন সুপার তাপস ঘোষ। তিনি এসে  নিরাপত্তা রক্ষীদের ওঠান এবং দেহ টি পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করেন। পরে জরুরী বিভাগে থাকা ডাক্তারেরা নয়ন বাগ কে মৃত বলে ঘোষণা করেন বলে জানান মৃতের স্ত্রী মিঠু বাগ। এরপরই দেহটি বেলায় ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হয় ইনকোয়েস্ট।পরে ময়নাতদন্ত।হাসপাতালে  আসেন বর্ধমান থানার আই.সি সুখময় চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা।

 

মৃতের স্ত্রী মিঠু বাগ জানান, পেটে যন্ত্রণা নিয়ে হুগলীর গোঘাটের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিলেন নয়ন বাগ। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় সোমবার সন্ধ্যায়  বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয় । রাত আড়াইটা নাগাদ গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। এই ঘটনায় তিনি হাসপাতালের নিরাপত্তা গাফিলতির দিকে অভিযোগ তুলছেন তিনি। তিনি জানান; প্রচন্ড যন্ত্রনা হচ্ছিল। তিন বারবার নার্স ও চিকিৎসকদের বলেন। সকালে ছাড়া কিছু করা যাবে না বলে তাকে বলা হয়। বাথরুমে যাবার নাম করে রোগী নিচে নেমে আসেন সম্ভবত লিফটে করে। তিনি তা স্পষ্ট জানেন না। তার ধারণা ; প্রচন্ড কষ্ট সহ্য করতে না পারায় এই ঘটনা ঘটিয়েছেন তার স্বামী।এই বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে চাননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *