অন্ডাল বিমানবন্দরে যেতে গণপরিবহনের দাবি তুলছেন যাত্রীরা

কাজী নজরুল বিমানবন্দরকে আগামী দিনে আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট তৈরি করার চিন্তাভাবনা গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় তৈরি হচ্ছে আরও একটি এয়ারপোর্ট । বার্নপুরে নতুন বিমানবন্দর তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে।প্রয়োজন বিমান পরিবহন মন্ত্রকের অনুমোদন। অন্যদিকে নতুন বছরের মধ্যেই অন্ডাল বিমানবন্দর থেকে নিত্য যাতায়াতকারী বিমানের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা চলছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরে কাজী নজরুল বিমানবন্দরের প্রতি ভরসা বেড়েছে অনেক মানুষের। নিত্য যাতায়াতকারী মানুষের সংখ্যাও বেড়েছে। তবে বিমানবন্দরে পৌঁছতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন অনেক মানুষ। বিমানবন্দর পৌঁছতে প্রায় বিমান ভাড়ার সমান টাকা খরচ করতে হচ্ছে যাত্রীদের । কারণ জাতীয় সড়ক থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এয়ারপোর্টে যাওয়ার জন্য নেই কোনও গনপরিবহনের ব্যবস্থা।

এক্ষেত্রে যে সমস্ত যাত্রীদের নিজস্ব গাড়ি নেই, তাদের ভরসা করতে হচ্ছে ভাড়ার গাড়ি, ক্যাব, টাক্সির ওপর । তাতে যে পরিমান খরচ যাত্রীদের হচ্ছে, তা মেটাতে অনেক যাত্রীর মুখ ভার হয়ে যাচ্ছে। তাই বিমানবন্দরে আসা-যাওয়া করা যাত্রীদের দাবি, অন্ততপক্ষে দুর্গাপুর সিটি সেন্টার থেকে অন্ডাল বিমানবন্দরে আসার জন্য সরকারি উদ্যোগে কোনও গণপরিবহন চালু করা হোক। তাতে, বিমানবন্দরে আসা-যাওয়া করা মানুষের খরচ কিছুটা সাশ্রয় হবে । ভাড়ার গাড়ির উপর ভরসা করতে হবে না তাদের। পাশাপশি গন পরিবহনের ব্যবস্থা করলে, তাতে রাজ্য সরকারের কিছুটা আয় হবে।

প্রসঙ্গত, কাজী নজরুল বিমানবন্দর থেকে বর্তমানে চেন্নাই, ব্যাঙ্গালোর সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রুটে বিমান চালানো হচ্ছে। এই বিমানবন্দরের প্রতি আকর্ষণ বাড়ছে পশ্চিম বর্ধমানের পার্শ্ববর্তী জেলাগুলির মানুষের। সে তালিকায় পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলাগুলি রয়েছে (Kazi Nazrul Airport)। এই সমস্ত মানুষের কাছে কলকাতা বিমানবন্দরের থেকে, কাজী নজরুল বিমানবন্দর পৌঁছানো অপেক্ষাকৃত সহজ। ফলে বহু মানুষই এই বিমানবন্দরের উপর ভরসা করতে শুরু করেছেন।

কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বিমানবন্দরে পৌঁছতে গিয়ে। বাঁকুড়া পুরুলিয়ার যাত্রীরা তো বটেই, এমনকি পশ্চিম বর্ধমান জেলার মানুষও বিমানবন্দর পৌঁছতে গিয়ে মাঝেমধ্যে সমস্যায় পড়ছেন। কারণ জাতীয় সড়ক থেকে বেশ কিছুটা দূরে অন্ডাল এয়ারপোর্ট অবস্থিত। এই রাস্তায় ভিড় যথেষ্ট কম। গাড়ির সংখ্যা একদমই নগণ্য। মানুষ দুর্গাপুর সিটিসেন্টার অথবা অন্ডাল এয়ারপোর্ট রাস্তার সঙ্গে জাতীয় সড়কের সংযোগস্থলে সহজে পৌঁছতে পারছেন ।

কিন্তু বাকি রাস্তাটুকু নিয়ে সমস্যায় পড়ছেন মানুষ। এক্ষেত্রে অনেকই, একেবারে নিজের বাড়ি থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত ট্যাক্সি বা ক্যাব বুক করছেন। তাতে যে পরিমাণ ভাড়া যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে, তা বিমান ভাড়াকে ছুঁয়ে ফেলার সমান। তাই যাত্রীরা বলছেন, অন্ডাল এয়ারপোর্ট-এর প্রতি মানুষের ভরসা যখন বাড়ছে, যখন বাড়ছে মানুষের যাতায়াত, তখন সরকারের পক্ষ থেকে বিমানবন্দরে যাওয়ার জন্য গণপরিবহনে ব্যবস্থা করলে, তা দু পক্ষের জন্যই লাভজনক হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *