পাকিস্তানের ডিগ্রি গ্রাহ্য হবে না ভারতে, মিলবে না চাকরিও, নয়া বিজ্ঞপ্তি ইউজিসির
উচ্চশিক্ষার জন্য নয় পাকিস্তান। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন এবার এমনই এক নির্দেশিকা জারি করল।
SUNITA GHOSH :- উচ্চশিক্ষার জন্য নয় পাকিস্তান। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন এবার এমনই এক নির্দেশিকা জারি করল। ভারতীয় পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষার জন্য পাকিস্তানে না যাওয়ার সতর্কবার্তা দেওয়া হলো ইউজিসি এবং অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন এর পক্ষ থেকে। দুই উচ্চশিক্ষা নিয়ামক সংস্থার যৌথ বিজ্ঞপ্তিতে, ভারতীয় পড়ুয়াদের পাকিস্তানের কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নাম নথিভুক্ত যাতে না করে এদিন তারই পরামর্শ দেওয়া হয়।
ইউজিসি-র চেয়ারম্যান জগদীশ কুমার শনিবার জানিয়েছেন, সম্প্রতি বেশকিছু ভারতীয় পড়ুয়া উচ্চশিক্ষার জন্য পাকিস্তানে গিয়ে আর দেশে ফেরেননি। সে কারণেই এভাবে সতর্ক করে দেওয়া হল। ইউজিসি এবং এআইসিটিই বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করে জানিয়েছে, পাকিস্তানের কোনও কলেজ বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা বা গবেষণা করলে, সেই শংসাপত্রকে স্বীকৃতি দেবে না ভারতের কোনও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে এই দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থার আওতাভুক্ত কোনও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাকিস্তানি শংসাপত্রের স্বীকৃতি মিলবে না।
পড়াশোনা যেকোনো বিষয় হয়ে থাকুক না কেন, কিন্তু পাকিস্তানের ডিগ্রী কখনোই গ্রাহ্য হবে না ভারতবর্ষে। তবে নয়া নির্দেশিকায় আরও জানানো হয়েছে, যে সমস্ত অভিবাসী এবং তাঁদের ছেলেমেয়েরা পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষা লাভ করেছেন এবং পরবর্তী কালে ভারতের নাগরিকত্ব পেয়েছেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ছাড়পত্র পেলে তাঁদের ভারতে চাকরি পেতে সমস্যা হবে না। প্রতি বছরই কাশ্মীর থেকে বহু পড়ুয়া পাকিস্তানের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়তে যান। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, তাঁদের অনেকেই দেশে না ফেরেন না। সে কারণেই এই পদক্ষেপ কেন্দ্রের।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৯ সালেও ইউজিসি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছিল। পাকিস্তানের শিক্ষালাভ নিয়ে দ্বিতীয়বার ইউজিসি যা নির্দেশ দিয়েছে তাতে, প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আরও অবনতি হবে বলে আশঙ্কা করছেন কূটনীতিকরা। ভারত-পাক সম্পর্কের মধ্যে তিক্ততার অবসান যে এখনো ঘটেনি তার প্রমান হল ইউজিসির নির্দেশিকা।