মহম্মদ শামির বর্তমান পারফরম্যান্স এবং ফিটনেস নিয়ে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি মিশ্র এবং আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপের পর চোটের কারণে তিনি দীর্ঘ সময় মাঠের বাইরে ছিলেন এবং একটি গোড়ালির অস্ত্রোপচারও হয়েছে।
মহম্মদ শামির বর্তমান পারফরম্যান্স ও ফিটনেস –
দীর্ঘ ইনজুরি থেকে ফেরার পর শামির ফিটনেস এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা নিয়ে কিছু প্রশ্ন উঠেছে:

Read More – রোনাল্ডোর জীবনে কি শুরু হচ্ছে নতুন অধ্যায়?

- দীর্ঘ অনুপস্থিতি ও চোট: ২০২৩ বিশ্বকাপের ফাইনালের পর থেকে শামি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে। গোড়ালির চোটের জন্য তাঁর অস্ত্রোপচার হয় এবং হাঁটুতেও ফোলার সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এই কারণে তাঁর মাঠে ফেরা বারবার পিছিয়েছে।
ওজন হ্রাস: জানা গেছে, চোটের সময় তাঁর ওজন প্রায় ৯০ কেজি হয়ে গিয়েছিল। কঠোর পরিশ্রম এবং ডায়েটের মাধ্যমে তিনি ওজন কমিয়ে মাঠে ফেরেন। তিনি ব্যক্তিগতভাবে জানিয়েছেন, ২০১৫ সাল থেকে তিনি দিনে একবার (রাতে ডিনার) খাবার খান।
- ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন: চোট সারিয়ে তিনি রঞ্জি ট্রফিতে বাংলার হয়ে ফিরেছেন এবং সেখানে উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে দুই ইনিংসে মোট সাতটি উইকেট নিয়ে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হন। এটি তাঁর ফিটনেস ও বল হাতে ছন্দ ফিরে পাওয়ার ইঙ্গিত।
- আইপিএল-এ ছন্দহীনতা: সাম্প্রতিক আইপিএল মরশুমে তাঁর পারফরম্যান্স প্রত্যাশা অনুযায়ী ছিল না। তিনি ছন্দ খুঁজে পাননি এবং তাঁর ইকোনমি রেটও বেশি ছিল। একটি ম্যাচে তিনি সবচেয়ে বেশি রানও খরচ করেন। এই পারফরম্যান্স নির্বাচকদের কপালে ভাঁজ ফেলেছে।
- ফিটনেস বিতর্ক: আইপিএলে ছন্দ হারানোর পর তাঁর ফিটনেস নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়। তবে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের কোচ ড্যানিয়েল ভেত্তোরি তাঁর ফিটনেস নিয়ে সরাসরি কোনো সমস্যা নেই বলে মন্তব্য করেন।
ভারতীয় বোর্ড ও নির্বাচকদের প্রত্যাশা
ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (BCCI) এবং নির্বাচক মণ্ডলী মহম্মদ শামির ফিটনেস ও পারফরম্যান্সের বিষয়ে স্বচ্ছতা এবং ১০০% ফিটনেস-এর উপর জোর দিচ্ছে:- ১০০% ফিটনেসে জোর: ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা স্পষ্ট জানিয়েছিলেন যে, অস্ট্রেলিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ সফরে ‘হাফ-ফিট’ শামিকে দলে নেওয়া হবে না। এনসিএ (National Cricket Academy) থেকে তাঁর সম্পূর্ণ ম্যাচ ফিটনেস প্রমাণ করার পরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ মিলবে।
- নির্বাচনে বাদ পড়া: চোট এবং হাঁটুতে ফোলাজনিত সমস্যার কারণে তিনি নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির মতো গুরুত্বপূর্ণ সিরিজেও দলে সুযোগ পাননি। নির্বাচকরা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে তিনি এখন আর ‘অটোমেটিক চয়েস’ নন।
- বোর্ড-শামি যোগাযোগ: শামি নিজে একটি সাক্ষাৎকারে বলেন যে তাঁর ফিটনেস নিয়ে বোর্ড বা নির্বাচকদের পক্ষ থেকে কোনো আপডেট চাওয়া বা দেওয়া হয়নি। যদিও প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকর বলেছিলেন যে তিনি শামির সঙ্গে কথা বলেছেন এবং মেডিক্যাল টিম মনে করে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য এখনও উপযুক্ত নন। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মতো সিনিয়র ক্রিকেটার এই বিষয়ে বোর্ড ও খেলোয়াড়ের মধ্যে আরও বেশি স্বচ্ছতার কথা বলেছেন।
- ঘরোয়া ক্রিকেটে নজর: জাতীয় দলে ফেরার রাস্তা হিসাবে ঘরোয়া ক্রিকেটে (রঞ্জি ট্রফি, বিজয় হাজারে ট্রফি) তাঁর পারফরম্যান্স এবং ফিটনেসের উপর নজর রাখা হচ্ছে।










