বিদ্যাসাগরের জন্মদিনকে ‘বাংলার জাতীয় শিক্ষক দিবস’ ঘোষণার দাবিতে স্মারকলিপি

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিন, ২৬ সেপ্টেম্বর ‘বাংলার জাতীয় শিক্ষক দিবস’ ঘোষণার দাবিতে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জমা পড়ল স্মারকলিপি। বাংলার বুদ্ধিজীবীদের স্বাক্ষর-সহ মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে সেই স্মারকলিপি পাঠাল বাংলা পক্ষ।একইসঙ্গে, ২৬ সেপ্টেম্বর দিনটিকে ‘রাষ্ট্রীয় শিক্ষক দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্যও সংসদে এই দাবি উত্থাপন করার জন্য আবেদন করেছেন বিশিষ্টরা।

ইতিমধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুরের বীরসিংহ গ্রামে পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের স্মৃতি বিজড়িত ভগবতী বিদ্যালয় এবং স্মৃতি মন্দির সংরক্ষণ করতে উদ্যোগী হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বরাদ্দ করা হয়েছে আড়াই কোটি টাকা। ভগবতী বিদ্যালয়ের লাগোয়া যে দু’টি পুরনো মাটির বাড়ি রয়েছে, সেগুলিকে অবিকৃত রেখেই ফাঁকা জমিতে তৈরি হবে আম্রকুঞ্জ।

বাইরের পর্যটকদের থাকার জন্য তৈরি হবে পান্থনিবাস। ভগবতী স্কুলের যে পুরোনা ভবন রয়েছে, সেটিরও আমূল সংস্কার করা হবে। পুরো নকশা তৈরি করে দিয়েছে রাজ্য হেরিটেজ কমিশন। এরমধ্যেই বিদ্যাসাগরের জন্মদিনে শিক্ষক দিবস ঘোষণার দাবি উঠল পুরোদমে ।

দাবিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন কবি জয় গোস্বামী, সুবোধ সরকার, ইতিহাসবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি, পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়, সঙ্গীতশিল্পী রূপম ইসলাম, রূপঙ্কর বাগচি, রাঘব চট্টোপাধ্যায়, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সবুজকলি সেন, অসম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য তপোধীর ভট্টাচার্যেরও।

মূলত তাঁদের বক্তব্য, বিদ্যাসাগরই প্রকৃত অর্থ জাতির শিক্ষক। তাঁর বই পড়েই বাঙালির অক্ষরজ্ঞান অর্জন হয়। শুধু তাই নয়, ভারত নিয়ে তাঁর চিন্তা-ভাবনা আধুনিকতার পথপ্রদর্শক। যখন অন্ধকারে ভরে যাচ্ছে চারদিক, তখন বিদ্যাসাগরের দর্শন, চেতনা আমাদের পথ দেখাবে। তবে বাংলা পক্ষের তরফে ‘বাংলার জাতীয় শিক্ষক দিবস’ ঘোষণার দাবি তোলা হয়েছে। এমনটাই লেখা হয়েছে স্মারকলিপিতেও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *