বিজেপির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক , কুণালের টুইটে নতুন জল্পনা
নিম্নচাপের মধ্যে রাত পোহালেই ভবানীপুরের ভোট। তার আগের দিন বিজেপিতে আরও বড় ভাঙনের পূর্বাভাস শোনাতে চাইলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বুধবার টুইটে রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ যা লিখেছেন তাতে নতুন করে গেরুয়া শিবিরে ভাঙনের জল্পনা তৈরি হয়েছে। কুণালের টুইটে কারও নাম নেই।শুধু রয়েছে রহস্য। কুণাল লিখেছেন, ‘গতকাল বিজেপির যাঁরা বৈঠকে ছিলেন এবং যাদের সঙ্গে তাঁরা ফোনে কথা বলালেন, তাঁদের ধন্যবাদ।
তাত্পর্যপূর্ণ, এঁরা কেউ তৃণমূল থেকে যাওয়া নন। সেই তালিকা আলাদা। তাড়াহুড়ো নেই।’ এখানেই থামেননি কুণাল। লিখেছেন, ‘ক্যাপ্টেনের ফর্মুলা চলুক। এখন থেকে ওদের মঞ্চে দেখলে হাসি পাবে। চেনা চেনা লাগবে তো!’ কুণালের টুইটে এটুকু স্পষ্ট, গতকাল কিছু বিজেপি নেতার সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়েছে। যাঁরা সেই বৈঠকে ছিলেন তাঁরা অন্য কয়েক জনের সঙ্গে ফোনে কথা বলিয়ে দিয়েছেন। এবং এঁদের সবাই বিজেপিরই লোক।
তৃণমূল থেকে গিয়ে আবার ফিরতে চাইছেন এমন নয়। দু’দিন আগেই কুণাল টুইট করে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন। কারণ বিজেপির তারকা প্রচারক হয়েও তিনি ভবানীপুরে প্রচারে যাননি। পাল্টা টুইটে লকেট লিখেছিলেন, আপনারা বরং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেতানোর ব্যাপারে ফোকাস করুন। সম্প্রতি লকেটকে নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। এও রটে গিয়েছিল, নিজের গাড়ির বদলে অন্য গাড়িতে চেপে লকেট কালীঘাটে গিয়ে গভীর রাতে গোপন বৈঠক সেরেছিলেন।
যদিও পরে বিজেপি দাবি করে এসব ভুয়ো খবর। লকেটের সম্পর্কে রটানো হচ্ছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে। অনেকের মতে, কুণালের এই টুইটের পিছনে দুটি কারণ থাকতে পারে। এক, তিনি সত্যিই কিছু গেরুয়া শিবিরের নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তাঁরা হয়তো তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে ইছাপ্রকাশ করেছেন।
আবার এও হতে পারে, হাওয়ায় ভাসিয়ে বিজেপির ভিতর অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরির কৌশল। তবে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, ‘কুণালবাবু বারবার পেশা বদল করেন। আগে ছিলেন সাংবাদিক, তারপর হলেন চিটফান্ডের তাঁবেদার, তারপর তৃণমূল সাংসদ আর এখন এজেন্টের কাজ করছেন। বাজার ভাল হলে কাউকে এমন বারবার পেশা বদলাতে হয়?’