শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে মেমারিতে গণমিছিল
এতদিন দাবিটা মোটামুটি বিভিন্ন সমাজ মাধ্যমে সীমাবদ্ধ ছিল। টিভির পর্দায় চিকিত্সকদের একাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবি তুলছিলেন। এবার পথে নেমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবি তুললেন মেমারি শহরের কয়েকজন শিক্ষক, অভিভাবক, ছাত্র, সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষ।প্রবল প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে উপেক্ষা করে দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করার দাবিতে গত ২৩ শে জানুয়ারি বিকাল ৩ টে নাগাদ মেমারি শহরের নতুন বাসষ্ট্যান্ড থেকে একটি মিছিল শুরু হয় এবং কৃষ্ণবাজার, স্টেশনবাজার, বামুনপাড়া মোড় হয়ে বাসষ্ট্যান্ডে এসে শেষ হয়।
মিছিলে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকের মুখে ছিল মাস্ক এবং দাবি সম্বলিত কিছু প্ল্যাকার্ড । মেমারি শহরের দল-মত নির্বিশেষে সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রায় পঞ্চাশ জন মানুষ এই অরাজনৈতিক মিছিলে পা-মেলান। মিছিলের শেষে চকদিঘী মোড়ে একটি পথসভা হয় । সেখানে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক মানস রায়। তিনি বলেন – প্রায় দু’টো বছর পেরিয়ে গেল অথচ প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া কয়েক লক্ষ শিক্ষার্থী এখনো বিদ্যালয়ে প্রবেশের ছাড়পত্র পেলনা। একই পরিস্থিতি পঞ্চম এবং প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীর।
ভর্তি হওয়ার পরেও এখনো তারা নতুন প্রতিষ্ঠানে সবার সঙ্গে বসে ‘ক্লাস’ করার মজাটা উপভোগ করতে পারলনা। তার আরও বক্তব্য – যেখানে খেলা, মেলা, রাজনৈতিক সমাবেশের আয়োজন হচ্ছে সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কোভিড নীতি মেনে চালু করতে অসুবিধা কোথায়? একসঙ্গে না করে বিভিন্ন শ্রেণির জন্য সপ্তাহে অন্তত দু’দিন করে ক্লাসের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। আশাকরি আমাদের মমতাময়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী এই বিষয়ে দ্রুত সদর্থক সিদ্ধান্ত নেবেন ।
একই বক্তব্য অভিভাবকদের ।
জনৈক অভিভাবকের বক্তব্য – অনলাইন শিক্ষা কখনোই স্কুল শিক্ষার বিকল্প হতে পারেনা। বিদ্যালয়ে বন্ধুদের পাশে বসে সন্তানের যে মানসিক বিকাশ ঘটে তা বাড়িত মেটানো যায় না। তার আশা মুখ্যমন্ত্রী সবদিক বিবেচনা করে বাস্তব সম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
অরাজনৈতিক মিছিলের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে বর্ধমান শহরের একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন – ইতিমধ্যেই আমাদের রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ধাপে ধাপে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু করার ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছেন। ২০২১ সালের শুরু ও শেষ পর্বে দু’বার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আংশিকভাবে চালু হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতিতে আবার বন্ধ করে দিতে হয়। আশাকরি এবার সেইরকম কিছু ঘটবেনা। ছেলেমেয়েদের কোলাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তার পরিচিত পরিবেশ ফিরে পাবে ।।