বর্ধমান রাজনীতি দেশ-বিদেশ দক্ষিণবঙ্গ ক্রাইম স্বাস্থ্য ধর্ম লাইফ-স্টাইল স্বাস্থ্য প্রযুক্তি চাকরি কৃষি-কাজ রেসিপি ক্রিকেট ফুটবল
---Advertisement---

শ্রীনগরের মহাদেব পাহাড়ে যৌথ অভিযান, নিহত পহেলগাম কাণ্ডের তিন পাকিস্তানি জঙ্গি

Published on: July 29, 2025
---Advertisement---

Join WhatsApp

Join Now

ভারতীয় সেনা, কাশ্মীর পুলিশ ও সিআরপিএফ-এর যৌথ অভিযানে লস্কর ও TRF-ঘনিষ্ঠ শীর্ষ সন্ত্রাসীরা নিহত।

অপারেশন মহাদেব” হল ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সাম্প্রতিক সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযান, যা শ্রীনগরের উপকণ্ঠে, বিশেষ করে দাছিগাম জাতীয় উদ্যানের কাছে হরওয়ান এলাকার লিদওয়াস অঞ্চলে চালানো হয়েছে। এই অপারেশনের প্রধান লক্ষ্য ছিল এপ্রিল মাসের ২২ তারিখে পহেলগামে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী হামলার মূল পরিকল্পনাকারী এবং এর সাথে জড়িত অন্যান্য সন্ত্রাসীদের নির্মূল করা।
অপারেশন মহাদেব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য:

  • লক্ষ্য: পহেলগাম হামলার মূল পরিকল্পনাকারী সুলেইমান ওরফে আসিফ (ওরফে হাসিম মুসা) সহ তিন সন্ত্রাসীকে নিকেশ করা। এই হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক, যার মধ্যে ২৫ জন পর্যটক ছিলেন, নিহত হয়েছিলেন।

  • স্থান: শ্রীনগরের হরওয়ান এলাকার লিদওয়াস, যা দাছিগাম জাতীয় উদ্যান এবং মহাদেব রিজের ঘন জঙ্গলের কাছাকাছি অবস্থিত। অপারেশনের নাম “মহাদেব” এই অঞ্চলের মহাদেব পাহাড় থেকেই এসেছে।

  • তারিখ: ২৮ জুলাই, ২০২৫ (সোমবার)।
  • জড়িত বাহিনী: ভারতীয় সেনাবাহিনীর এলিট প্যারা কমান্ডো, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এবং সিআরপিএফ। এটি একটি যৌথ অভিযান ছিল।

  • সন্ত্রাসীদের পরিচয়:
  • সুলেইমান ওরফে আসিফ (হাসিম মুসা): পহেলগাম হামলার মূল পরিকল্পনাকারী। সে একজন প্রাক্তন পাকিস্তানি আর্মি প্যারা-কমান্ডো ছিল এবং লস্কর-ই-তৈবার (LeT) সাথে জড়িত ছিল।
  • জিব্রান: অক্টোবর ২০২৪-এর সোনমার্গ টানেল হামলায় জড়িত ছিল বলে অভিযোগ।
  • হামজা আফগানি ওরফে ইয়াসির: পহেলগাম হামলায় জড়িত ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
  • প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, নিহত তিন সন্ত্রাসীই পাকিস্তানি নাগরিক এবং লস্কর-ই-তৈবা এবং এর শাখা দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের (TRF) সাথে যুক্ত ছিল।

  • গোয়েন্দা তথ্য: নিরাপত্তা বাহিনী একটি স্যাটেলাইট ফোন সিগনাল ট্র্যাক করে এই অভিযান চালায়, যা পহেলগাম হামলায় ব্যবহৃত একই ডিভাইস থেকে এসেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। সন্ত্রাসীরা দাছিগামের মহাদেব পাহাড়ে লুকিয়ে ছিল।
  • অপারেশনের ধরন: এটি একটি সুচিন্তিত এবং দীর্ঘমেয়াদী অভিযান ছিল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হরওয়ানের মূলনার এলাকায় অভিযান শুরু হয়। সন্ত্রাসীরা একটি অস্থায়ী ছাউনিতে ঘুমিয়ে ছিল যখন নিরাপত্তা বাহিনী তাদের উপর হামলা চালায়।
  • উদ্ধারকৃত সামগ্রী: ঘটনাস্থল থেকে একটি M4 কারবাইন রাইফেল, দুটি AK রাইফেল, ১৭টি রাইফেল গ্রেনেড এবং অন্যান্য অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। সন্ত্রাসীদের একটি গোপন আস্তানা, যেখানে তারা খাবার প্রস্তুত করত, তার ছবিও পাওয়া গেছে।

  • গুরুত্ব: এই অপারেশনকে পহেলগাম হামলার বদলা হিসেবে দেখা হচ্ছে। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে এটি একটি বড় সাফল্য।

Join Telegram

Join Now