২০০ থেকে তিনশো কোটির সম্পত্তি মালিক জীবনকৃষ্ণ
মুর্শিদাবাদ-বীরভূমে বিঘার পর বিঘা জমি, রাইস মিল, গ্যাসের গোডাউন
বীরভূমের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে জীবনকৃষ্ণ সাহা।মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা কয়েকদিন ধরে শিরোনামে।গত কয়েকবছরে বিধায়কের উত্থান চোখে পড়ার মতো।একের পর এক জমি,বাড়ি তদন্তকারীদের চোখ কপালে তুলছে।জীবনকৃষ্ণের বাবার প্রচুর সম্পত্তি ছিল, বিঘার পর বিঘা জমি, একাধিক বাড়ি, তেলের কল-আরও কত কী।
স্নাতকোত্তর পাশ করেন বিশ্বভারতী থেকে। হস্টেলে থাকতেন।বিধায়কের মায়ের প্রতিপত্তি কিছু কম ছিল না। জীবনকৃষ্ণের বাবার দ্বিতীয় বিয়ে করার পর ছেলে জীবনকৃষ্ণ। তিন বিঘা জমির উপর বাড়ি, লরির ট্রান্সপোর্টের ব্যবসা ছিল তাঁর মায়ের নামে।জীবনকৃষ্ণ দুহাতে টাকা উড়িয়েছে ছোট থেকেই।বেআইনি প্রতিবন্ধী কার্ড চক্রে নাম জড়িয়ে পড়ায় প্রাইমারি স্কুলে চাকরি ছেড়ে দেন।বর্তমানেও একটি স্কুলের শিক্ষক জীবনকৃষ্ণ সাহা।
প্রতিদিন চাকরির জন্য টাকা নিয়ে বিধায়কের বাড়িতে লাইন দিত বহু মানুষ।২০১৮ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত প্রচুর সম্পত্তি কিনেছেন জীবনকৃষ্ণ। একাধিক জমি রয়েছে, যেগুলির টাকা দেওয়া হলেও রেজিস্ট্রি হয়নি।মুর্শিদাবাদের কৌশিক ঘোষের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন জীবনকৃষ্ণ।৩৫ বিঘা জমি রয়েছে বিধায়কের বাড়ির আশেপাশে।বীরভূমেও প্রচুর সম্পত্তি কিনেছিলেন জীবনকৃষ্ণ। সাইথিয়া পুরসভা এলাকায় ৫ কাঠা জায়গা রয়েছে জীবনকৃষ্ণের।সাইথিঁয়া শহরে পৈতৃক বাড়ি মিলিয়ে ৪ টি বাড়ি জীবনকৃষ্ণের।এখনও পর্যন্ত যা সম্পত্তি তাঁর দাম ২০০ থেকে তিনশো কোটি।