মামলা বিচারাধীন থাকলে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না
আদালতে দোষী সাব্যস্ত এবং সাজা ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত তারা নিরপরাধ।
একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বক্তব্য জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন ন্যূনতম পাঁচ বছর জেল হতে পারে এমন গুরুতর অপরাধের যুক্ত থাকার মামলা বিচারাধীন থাকলে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। রাজনীতিকে অপরাধমুক্ত রাখতে হলে এছাড়া কোনও উপায় নেই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন ।কমিশনের বক্তব্য, মামলার চার্জগঠন হয়ে গেলেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অধিকার হারাবেন।
নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব ন্যূনমত পাঁচ বছর জেল হতে পারে, এমন ব্যক্তির ভোটে প্রার্থী হওয়া নিষিদ্ধ হোক দেশে।পাঁচ বছর জেলের সাজা সাধারণত দাঙ্গা-হাঙ্গামা, খুন, খুনের চেষ্টার ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকা, দলবদ হামলার মতো অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে হয়ে থাকে। এছাড়া শিশুর উপর যৌন লাঞ্ছনার অপরাধেও পাঁচ বছর জেলের সাজা হয়। যদিও সুপ্রিম কোর্ট একাধিক মামলায় বলেছে, ন্যূনতম সাত বছর জেল হওয়ার মতো অপরাধগুলিই গুরুতর অপরাধ বলে বিবেচিত হবে।
রাজনৈতিক মহল ও আইনজ্ঞদের একাংশ বক্তব্য যে আদালতে দোষী সাব্যস্ত এবং সাজা ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত তারা নিরপরাধ। নির্দোষ ব্যক্তির কীভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়া যেতে পারে। যেখানে জেল থেকেও প্রার্থী হওয়ার অধিকার বহাল আছে দেশে।দ্বিতীয় আপত্তির জায়গাটি হল, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র প্রতিপক্ষকে ভোটে প্রার্থী হওয়া থেকে দূরে রাখতে কেউ মিথ্যা মামলা সাজাতে পারে।
নির্বাচন কমিশনের এই বক্তব্য যদিও নতুন নয়। অতীতে একাধিকবার তারা নির্বাচনী আইন সংস্কারের মামলায় এই অভিমত প্রকাশ করেছে। আইন সংশোধনের অধিকার রয়েছে সরকারের।