প্রথম একাদশে জায়গা না পেলে বড় ইঙ্গিত বাবুল সুপ্রিয়র

রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেও ঢাকঢোল পিটিয়ে যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তাবড় রাজনৈতিক নেতৃত্ব নির্বাচনের সময় নানা সময়ে চ্যালেঞ্জ করে বলেই থাকেন কথা না মিললে আর রাজনীতি করবেন না। তাঁরাও দিব্যি আছেন বাংলার রাজনীতিতে। তবে বাবুল যে ঠিকঠাক সুযোগ না পেলে কোনও দলে থাকবেন না তা এদিন ফের স্পষ্ট করে দিয়েছেন।বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর রবিবার তাঁর উপলব্ধি, তিনি সোশাল মিডিয়ায় ট্রোলড হচ্ছেন। তবে তিনি নিজে দেখেননি।

সোশাল মিডিয়ায় আগের কোনও পোস্ট ডিলিট করবেন না বলেও আসানসোলের বিজেপি সাংসদ জানিয়েছেন। এদিন তৃণমূলের দুই সাংসদ প্রবীণ সৌগত রায় এবং ডেরেক’ও ব্রায়েনের পাশে বসে বাবুল জানিয়ে দিলেন, তিনি প্রথম একাদশে না থাকলে দল বদল করতে পিছপা হবেন না। মোহনবাগানী বাবুল চলে যেতে পারেন ছোট দলে, নিদেনপক্ষে ইস্টবেঙ্গলে।শনিবার প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেওয়ার পর সোশাল মিডিয়ায় ঝড় ওঠে।

তাঁর আগের পোস্ট করা একাধিক বিষয়কে রিপোস্ট করে রীতিমতো ট্রোলড চলতেই থাকে গায়ক সাংসদকে নিয়ে। তবে তিনি যে প্রথম একাদশে থাকতেই পছন্দ করেন তা এদিন স্পষ্ট করেন। বাবুল বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যেপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসকে ধন্যবাদ দেব প্লেয়িং ইলেভেনে চান্স দেওয়ার জন্য। আমি যখন যেটা করি তখন সেটা মন দিয়ে করি। মোহনবাগানকে ভালবাসি।

মোহনবাগানের প্রথম একাদশে যদি সুযোগ না পাই, মোহনবাগানের জুনিয়র টিমের ফার্স্ট টিমে সুযোগ দেওয়া হয় তাহলেও আমি খেলব না। আমি ছোট টিমে চলে যাব। ইস্টবেঙ্গলে চলে যাব।’ তাঁর ঘোষণা, ‘আমি ১১ জনের দলে থাকতে চাই। খেলার ময়দানে থাকতে চাই।’ ৭ বছরের রাজনৈতিক জীবনে কাউকে যে প্রমান করার কিছু নেই সেকথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন বাবুল।

বাবুলের প্রথম একাদশে থাকার মন্তব্য নিয়ে ফের বিভ্রান্তিতে পড়েছে রাজনৈতিক মহল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব থেকে বাদ দেওয়ার পর তিনি বললেন, রাজনীতি করবেন না। এখন বলছেন প্রথম একাদশে না থাকলে দল ছেড়ে দেবেন। তা বোঝালেন তাঁর প্রিয় মোহনবাগান দলের উদাহরণ টেনে। প্রয়োজনে ছোট দল বা ইস্টবেঙ্গলও! তৃণমূল কংগ্রেসে প্রথম একাদশে না থাকলে তিনি কী করতে পারেন সেই ইঙ্গিত কী প্রথম দিনের ঘোষিত সাংবাদিক বৈঠকে দিয়ে দিলেন বাবুল? তেমন হলে কী আবার নতুন সিদ্ধান্ত? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনীতির ময়দানে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *