গরমে শরীর কে ঠান্ডা করতে বিয়ার কতটা উপযোগী

গরমে দিনের শেষে অনেকেই ঢুঁ মারেন শহরের পাবগুলিতে। সারাদিনের ক্লান্তি ভোলাতে চুমুক দেন বিয়ারের বোতলে (Beer)। বিয়ারে অ্যালকোহলের (Alcohol) মাত্রা কম থাকে বলে, সপ্তাহের মাঝেও কয়েক বোতল অনায়াসে পান করা যায়

শরীর কে ঠান্ডা রাখতে বিয়ারের জুড়ি মেলা ভার। বিয়ারে অ্যালকোহলের (Alcohol) মাত্রা কম থাকে। জল ও চায়ের পর বিয়ার হল এমন একটি পানীয়  যা বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে পান করা হয়।তবে রোজ রোজ বিয়ার পান করা কি স্বাস্থ্যকর? আর যদি সপ্তাহে এক-আধবার বিয়ারে চুমুক দেন, তাহলে কতটা পরিমাণ পান করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল?

যদিও বিয়ার খাদ্যবস্তু নয়, তবুও এর মধ্যে কিছু পুষ্টি রয়েছে। বিয়ার তৈরিতে সাধারণত বার্লি, হপস, ইস্ট, মাল্ট এবং জল ব্যবহৃত হয়। সুতরাং স্বাভাবিকভাবেই বিয়ারের মধ্যে ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, সেলেনিয়াম, বায়োটিন, ফসফরাস, ক্রোমিয়াম এবং বি ভিটামিন সহ বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান বিয়ারে পাওয়া যায়।গরমে নির্দিষ্ট পরিমাণে বিয়ার পান করেন, তাহলে এটি শরীরে শীতল প্রভাব ফেলবে। এর পাশাপাশি বিয়ার কার্ডিওভাসকুলার রোগ, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে।

গরমকালে জলের পাশাপাশি, বিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পানীয় হিসাবে প্রমাণিত হতে পারে, যদি আপনি সেটা সীমিত পরিমাণে পান করেন। মূত্রনালীর ট্র্যাকে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম জমা হওয়াকেও প্রতিরোধে সহায়তা করে। প্রস্রাব তৈরি করে, যা শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের হয়ে যায়। এটি কিডনিতে পাথরও বের করতে সহায়তা করে।ধীরে ধীরে বিয়ার পান করুন। অল্প সময়ের মধ্যে সমস্ত বিয়ার একসঙ্গে পান করবেন না। এতে ওই সময়ে শরীরে অ্যালকোহলের ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতে পারে।আপনি যদি মাসে এক-আধবার বিয়ার পান করেন, তাহলে এক বা দু’ বোতল বিয়ার করতে পারেন, তবে সর্বাধিক পাঁচটি বোতলের বেশি নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *