ঘরোয়া টোটকায় হাপানি, শ্বাস – প্রশ্বাস জনিত নানান সমস্যার নিয়ন্ত্রণ
নিয়মিত যোগব্যায়াম করলেও হাঁপানি রোগীদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
বর্তমানে অনেকেই ভুগছেন সহজে ঠান্ডা লাগা, জ্বর, হাপানি, শ্বাস – প্রশ্বাস জনিত নানান সমস্যায়। একটু তাপমাত্রার এদিক হলেই শুরু সর্দি,কাশি, বুকে কফ জমা, শ্বাসকষ্ট।এই সমস্যায় ভুক্তভুগী শিশু থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক প্রায় সকলেই।রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পেলেও কিছু ঘরোয়া টোটকাতেই ঠিক করা যায় শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা। ঘরোয়া পদ্ধতিতে দেখে নিন কীভাবে এই সমস্যা ঠিক করবেন।
বুকের কফ জমা ও ঠান্ডা লাগা থেকে রক্ষা পেতে রোজ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে গরম জলে এক চামচ মধু মিশিয় খান।গলা ব্যথাও কমে এতে। গরম জলে ১৫ ফোঁটা রসুনের রস মিশিয়ে নিয়ে পান করুন।পাঁচটা রসুনের কোয়া এবং এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো এক কাপ দুধে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন,দুধের সঙ্গেও খেতে পারেন রসুন।এই দুধ খেয়ে নিন,আপনার শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যাগুলো সহজেই দুর হবে ঠান্ডা লাগাও কমবে।
রোগ প্রতিরোধ ও শরীরের ব্যাকটেরিয়া নাশ করতেও কার্যকর হলুদ।১/২ চামচ হলুদ মধুর সঙ্গের মিশিয়ে খেতে পারেন।আপনার হাঁপানির সমস্যা তাড়াতাড়ি কমতে
প্রতিদিন নিম তেলের কয়েক ফোঁটা খেতে পারেন।এক গ্লাস জলে এক চামচ মেথির দানা ভিজিয়ে রাখুন। কিছুক্ষন পর ওই জলে এক চামচ মধু ও আদা রস মিশিয়ে দিয়ে খেয়ে নিন। ঠান্ডা লাগা, সর্দি,হাঁপানি থেকে রক্ষা পেতে হলে এই জলটা আপনাকে দিনে দু’বার করে পান করতে হবে।
হাঁপানির কারণে যে নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা সেটাও কমে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে অর্ধেক চামচ দারুচিনির গুঁড়ো এক চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খান। হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, তবে এটা সম্পূর্ণরূপে নিরাময় করা যায় না।নিয়মিত যোগব্যায়াম করলেও হাঁপানি রোগীদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে।