খুলি দিয়ে খেলা হবে ফুটবল

খুলি দিয়ে খেলা হবে ফুটবল খেলা! হতোবা! আবাক হচ্ছেন সকলেই !

খুলি দিয়ে খেলা হবে ফুটবল খেলা! হতোবা! আবাক হচ্ছেন সকলেই ! স্বয়ং মা কালীকে মরার খুলি নিয়ে খেলতে দেখা যাবে ! শান্তিনিকেতন? কবি গুরুর জায়গায় এমন ঘটনা ঘটবে? বীরভূম শক্তিপীঠের দেশ! আর এসবেরই উপলক্ষ বইয়ের আনুষ্ঠানিক প্রকাশকে ঘিরে। পুরাণে আদৌ এসব আছে কিনা ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর পাবেন বাংলার কালী ও কালীক্ষেত্র বইটিতে, বলছে একটি ফেসবুক পোস্ট! কয়েকদিন এসবই ঘুরছে ফেসবুকের ওয়ালে! এই নিয়ে কালী কথার আকরগ্রন্থটি লিখেছেন সাংবাদিক চিত্রনাট্যকার সর্বোপরী সাহিত্যিক খোদ মা তারার দেশের লোক রাধামাধব মন্ডল।হেমন্তের মিঠে রোদ। উত্তরে হাওয়ার কাঁপন। আর এমন পরিবেশেই লালমাটির দেশ বোলপুর শান্তিনিকেতনের রতনপল্লির ফাঁকামাঠে, বই প্রকাশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে একটি প্রকাশনী সংস্থা। সংস্থার কর্ণধার সুব্রত দাস বলেন, “চমক যেমন থাকে সুলেখক রাধামাধব মণ্ডলের কলমে। তেমনই থাকে প্রকাশ অনুষ্ঠানেও!”

 

 

 

ঘড়িতে তখন বেলা ৩ টে। রতনকুঠিরে আনাগোনা বেড়েছে সিবিআই এর অফিসারদের একটি দল। এমন পরিবেশে একদল বইপ্রেমী মানুষ ঘাসের মাঠে শতরঞ্চি পেতে বসেছেন। একে একে আসছেন অনেকেই, সেই অনুষ্ঠানে। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই নাকি উদ্বোধন হবে বই। মোটামুটি ভাবে মঞ্চ প্রস্তুত করে ফেলেছেন প্রকাশনা গোষ্ঠীর লোকজনরা। মাটির আসনে বইপ্রকাশ অনুষ্ঠান। বিকেলের শান্তিনিকেতনে জমজমাট লোকজন।ঠিক তখনই ঢাক ঢোল বাজিয়ে বই প্রকাশ অনুষ্ঠানের মঞ্চে এলেন স্বয়ং মা কালী! চমকে উঠলেন সবাই! বাংলা প্রকাশনা জগতে এমন বই প্রকাশ অনুষ্ঠানকে ঘিরে সকলেই তখন হতবাক। বিরল দৃশ্যের সাক্ষী থাকলো বোলপুর শান্তিনিকেতনের বইপ্রেমী মানুষজনরা।
বৃহস্পতিবার এমন ভাবেই শান্তিনিকেতন রতনপল্লির মাঠে, লেখক রাধামাধব মণ্ডলের লেখা “বাংলার কালী ও কালীক্ষেত্র ” এবং দুটি উপন্যাস একত্রে “জল পাখির গান” বই দুটির উদ্বোধন হল। আর এই উদ্বোধনী মঞ্চেই হঠাৎ উপস্থিত হলেন স্বয়ং কালী! একদল ঢাকির মাঝে।

 

 

 

বীরভূমের রাঙামাটি প্রকাশনীর এমন আয়োজনে অবাক উপস্থিত সকলে। পথচলতি বহু মানুষ ততক্ষণে ভিড় জমিয়েছেন এমন দৃশ্য দেখে।
রাঢ়ের কালীক্ষেত্র ও কালীকথা খুবই গুরুত্ব পেয়েছে লেখক রাধামাধব মণ্ডলের বই এ। তিনিও রাঢ়বাংলার মানুষ।লেখক রাধামাধব মণ্ডলকে এবিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “রাঢ়ের কালী আমার খুব প্রিয়। আমি আউশগ্রামের যে গ্রামে জন্মেছি, তা এক সময় ডাকাতদের অধীনে ছিল। আমার এলাকায় বহু কালী রয়েছে। এই আকর্ষণেই লেখা শুরু।” আর আজকের এই বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে হঠাৎ কালীর আগমন সম্পর্কে লেখক বলেন, “রাঢ়ের বিখ্যাত এইসময়ের বহুরূপী শিল্পী নিতাই পাল আমার আত্মজন। তিনি বইটির কথা জেনে, নিজেই এমন আয়োজন করেছেন প্রকাশক সুব্রত দাসের সহযোগীতায়। এটা আমার পরমপাওয়া।”বাংলা প্রকাশনা জগতের এমন বিরল বই প্রকাশ অনুষ্ঠান দেখে স্বভাবত খুশি বইপ্রেমীরা। সেইসঙ্গে বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে, শান্তিনিকেতন এই প্রথম ঢাক বাজলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *