রাজ্য সরকারের দেওয়া নিরাপত্তা ছাড়লেন দিলীপ ঘোষ
রাজ্য সরকারের দেওয়া নিরাপত্তা ছাড়লেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা বর্তমানে দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। অর্থাত্, রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তা ছাড়লেন তিনি। রাজ্যকে চিঠি দিয়ে ইতিমধ্যেই তা জানিয়ে দিয়েছেন BJP নেতা। কিন্তু কেন হঠাত্ করে রাজ্যের নিরাপত্তা ছেড়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ, তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।তবে দিলীপ বাবুর ঘনিষ্ঠ মহল বলছে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরে যাওয়ার ফলেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
রাজ্য সভাপতি থাকাকালীন গোটা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়াতে হত দিলীপ ঘোষকে। কিন্তু সম্প্রতি তাঁকে রাজ্যে সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি করা হয়। ফলে আগের মতো তাঁকে আর রাজ্যময় ঘুরতে হবে না। সেই কারণেই রাজ্যের নিরাপত্তা ছেড়ে দিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে রাজ্যের দুই নিরাপত্তারক্ষী থাকতেন দিলীপ ঘোষের সঙ্গে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে এ রাজ্যে বিজেপির অভাবনীয় সাফল্যের পেছনে দিলীপ ঘোষের ভূমিকার কথা স্বীকার করেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও। সেই ভোটের পর বিজেপির তত্কালীন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপর হামলা হতে পারে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে এমনই রিপোর্ট দেয় গোয়েন্দারা। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা ছিল, যে কোনও সময় তাঁর উপরে হামলা হতে পারে।
এমনকি প্রাণঘাতী হামলারও সম্ভাবনা রয়েছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পাঠানো রিপোর্টে জানানো হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই তাঁর ঠিকানাও যেমন বদল করতে হয়, তেমনি তাঁর নিরাপত্তা বাড়িয়ে জেড ক্যাটেগরি করা হয়।
জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পাওয়ার পর দিলীপের রক্ষীর সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৩০ জনের কাছাকাছি হয়। সেইসঙ্গেই রাজ্যের তরফে দু’জন নিরাপত্তারক্ষী থাকত।
এবার রাজ্যের নিরাপত্তা ছেড়ে দিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। প্রসঙ্গত, দলের রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর একাধিক জায়গায় গণ্ডগোলের মাঝে পড়েন তিনি। দার্জিলিং হোক বা হালের ভবানীপুর উপনির্বাচনে প্রচারের শেষ দিন- দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যেই নানা সমস্যা হয়েছে।