বর্ধমানে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড দেখিয়েও মিললোনা লোন
স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে (StudentCreditCard) লোনের জন্য আবেদন করেও লাভ হল না। বিপাকে পড়লেন বর্ধমানের এক ছাত্র। বর্ধমান সেন্ট্রাল কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কের কালনা শাখায় আবেদন করেছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের লোনের জন্য কোনো গ্রান্টার লাগার কথা নয়।কিন্তু ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তাঁকে বাড়ির দলিল সহ আরও কিছু নথিপত্র জমা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বলে অভিযোগ। কালনার ছোটোমিত্র পাড়ার ছাত্র আবির মিত্র।
বি.টেক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবির। পরিবারের আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য না থাকায় বর্ধমান কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কের কালনা শাখার স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড দেখিয়ে লোনের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তাঁকে বাড়ির দলিল জমা রাখার পরামর্শ দেন বলে অভিযোগ। এরপরই আবির মুখ্যমন্ত্রী, কালনার বিধায়ক, কালনার মহকুমাশাসক সহ বেশ কয়েক জায়গায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, টাকার অভাবে যাতে কোনও ছাত্রছাত্রীর পড়াশোনা বন্ধ না হয় সে জন্যই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড চালু করা হচ্ছে। কোন কোন ক্ষেত্রে এই কার্ড ব্যবহার করা যাবে তাও জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
দশম থেকে শুরু করে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, ডিপ্লোমা, গবেষণা, ডাক্তারি পড়ার ক্ষেত্রে বিশেষ এই কার্ডের মাধ্যমে লোন পাওয়া যাবে। শুধু তাই নয়, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন যাঁরা, সেক্ষত্রে কোচিংয়ের ফি-ও মেটানো যাবে এই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে। এছাড়া লেখাপড়ার যাবতীয় খরচ, কোর্স ফি, হস্টেল ফি, বই কেনা যাবে এই কার্ড ব্যবহার করে। কম্পিউটার ও ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রেও এই কার্ডের মাধ্যমে মিলবে ঋণ। প্রতিশ্রতির পরেও স্টুডেন্ট কার্ড দেখিয়ে লোন না পাওয়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ কালনার বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ।
তিনি জানান, এটা সরকারকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা মাত্র। ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করে বিষয়টা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন তিনি। অন্যদিকে সেন্ট্রাল কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কের কালনা শাখার ম্যানেজারের দাবি, দলিল রাখার কথা বলা হয়নি, শুধুমাত্র আলোচনা চলছিল। এদিকে লোন না পেয়ে ভেঙে পড়েছেন আবির। তাঁর দাবি লোন না পেলে উচ্চশিক্ষা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বিধায়ক।