জ্ঞানেশ্বরী কাণ্ডে অমৃতাভ চৌধুরী জীবিত নাকি মৃত জানালো সিবিআই

জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ কেলেঙ্কারি কারো অজানা নয়। ২০১০-এর জ্ঞানেশ্বরী রেল দুর্ঘটনায় পাথুরিয়ঘাটা এলাকার বাসিন্দা অমৃতাভ চৌধুরী কি সত্যি মারা গিয়েছেন?

জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ কেলেঙ্কারি কারো অজানা নয়। ২০১০-এর জ্ঞানেশ্বরী রেল দুর্ঘটনায় পাথুরিয়ঘাটা এলাকার বাসিন্দা অমৃতাভ চৌধুরী কি সত্যি মারা গিয়েছেন? তাহলে যে ব্যক্তি নিজেকে অমৃতাভ বলে দাবি করছেন, তিনি কে? এবার সমগ্র রহস্যের কিনারা করল সিবিআই। যে ব্যক্তি নিজেকে অমৃতাভ বলে দাবি করছেন, তার সাথে একটি মিসডকল মারফত আলাপ হয় অমৃতাভর বাবার।

 

এরপর ধীরে ধীরে ওই ব্যক্তির প্রতি বৃদ্ধের পুত্র স্নেহ তৈরি হয়। ছেলে অমৃতাভর মৃত্যুর পর অর্থাৎ অমৃতাভর মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই ওই যুবককে একপ্রকার “দত্তক” নেন বৃদ্ধ। ২০১৭-তে অমৃতাভর পরিচয়ে দিয়ে তাঁকে কলকাতার পাথুরিয়ঘাটার বাড়িতে নিয়ে যান। দুর্ঘটনার পর ছেলের স্মৃতিশক্তি লোপ পেয়েছে বলে পরিবার-পরিজন থেকে শুরু করে আত্মীয়-স্বজনদের জানান ওই বৃদ্ধ।

 

১১ বছর আগে হাওড়া থেকে মুম্বই যাওয়ার পথে লাইনচ্যূত হয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস। ট্রেনটি লাইনচ্যূত হওয়ার পর উল্টোদিন থেকে আসা একটি মালগাড়ির সঙ্গে সেটির সংঘর্ষ হয়। সেই সময় মৃতদের পরিবারপিছু ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ও চাকরির আশ্বাস দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি আহতদের চিকিৎসার ব্যয় বহন করে রাজ্য। সেখানেই ভুয়ো তথ্য দিয়ে ক্ষতিপূরণের অর্থ ও চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অমৃতাভ চৌধুরী ও তাঁর বাবার বিরুদ্ধে। কিন্তু মৃত্যুর পরেও কিভাবে জীবিত অবস্থায় ফিরে এলো অমৃতাভ চৌধুরী।

 

লোকজনের সন্দেহ হওয়া মাত্রই রেল দফতরে খবর যায়। রেল অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধান চালায়। গত বছর জুন মাসে অভিযোগ দায়ের পাশাপাশি ডিএনএ টেস্টের জন্য নমুনা পাঠানো হয়। ওসিফিকেশন টেস্ট এর রিপোর্ট আসতেই রহস্যের কিনারা করলো সিবিআই। ওই যুবকের সঙ্গে অমৃতাভর অভিভাবকদের ডিএনএ মিলিয়ে দেখা হয়। অমৃতাভর অভিভাবকদের সঙ্গে ওই যুবকের ডিএনএ মেলেনি। সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদে এবার আসল সত্যিই স্বীকার করলো নকল অমৃতাভ এবং আসল অমৃতাভর বাবা। ওই যুবক এতদিন অমৃতাভর পরিচয় নিয়ে ছিলেন, তিনি আসলে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। ইতিমধ্যেই সমগ্র তথ্য জানার পর মামলাটি বন্ধ করে দিয়েছে সিবিআই

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *