এবারের কালি পূজায় বর্ধমানবাসীদের জন্য চমক জোড়া বুর্জ খলিফা
দুর্গাপুজোয় কলকাতার বুকে বুর্জ খলিফা দেখতে ভিড় জমিয়ে ছিলেন অনেকে। কেউ কেউ আবার অনেক আশা নিয়ে গিয়েও নিরাশ হয়ে ফিরে এসেছেন। তাই পুজোর সময় না হলেও বর্ধমানবাসীর জন্য কালীপুজোর থিমে বর্ধমানে তৈরি হচ্ছে জোড়া বুর্জ খলিফা। বর্ধমানের দুই প্রান্তে দুটি পুজো উদগকতা এবারে কালীপুজোর মন্ডপের থিম হিসেবে বুর্জ খলিফা বেছে নিয়েছেন। একদিকে অসম্ভব জনপ্রিয়তা, অন্যদিকে বিতরকের মাঝে মন্ডপ দর্শন বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে অনেকেই আশাহত হয়েছিলেন।
সেই সব মানুষের কথা চিন্তা করেই ব্রুজ খালিফা তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা। বর্ধমানের পাড়াপুকুরে আর ইউ সি ক্লাব ও ছোটনিলপুর দিলীপ স্মৃতি সংঘ ক্লাব এবারে বুর্জ খালিফার আদলে মন্ডপ তৈরি করছেন। কলকাতা শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের তুলনায় আকারে ও আলোকসজ্জায় হুবহু এক নাহলেও ভিন্ন ধরনের আলোকসজ্জা তৈরি করে বুর্জ খালিফা দেখার আশা পূর্ণ করতে চলেছেন তারা।
বর্ধমান শহরের আর এ ইউ সি-র বুর্জা খালিফার উচ্চতা হবে ৫০ ফুট। বাঁশ আর জি আই সিট দিয়েই তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ।
ক্লাবের কর্মকর্তারা বলেন, তাদের মণ্ডপে আলোর ব্যবহার থাকবে। কিন্তু লেজার আলোর ব্যবহার করা হবে না। পরিবর্তে স্পার ও সার্ফি লাইট দিয়েই বুর্জ খালিফার সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা হবে। উদ্যোক্তাদের দাবী, প্রায় সাড়ে ৩ টাকা বাজেটে ধরা হয়েছে।এবারে তাদের পুজো সপ্তম তম বর্ষে পদার্পণ করলো।
অন্যদিকে, বর্ধমানের বড়নীলপুর দিলীপ স্মৃতি সংঘের উদ্যোগে এবার বুর্জ খালিফার আদলে তৈরি করা হচ্ছে। তাদের মন্ডপের সর্বাধিক উচ্চতা হবে 40 ফুট। বাঁশের কাঠামোর ওপর টিনের সিট লাগিয়ে এই মণ্ডপ তৈরি করা হবে। কালীপুজোর ৪৫ তম বর্ষে তাদের এবারের বাজেট প্রায় দেড় লক্ষ টাকা। বুর্জ খালিফার আকারের মণ্ডপ তৈরির পাশাপাশি, সার্ফি লাইট দিয়ে গোটা মণ্ডপ সাজানো হবে।
ক্লাবের সম্পাদক গোপাল দাস জানান, কলকাতার বুর্জ খালিফা পুজোমণ্ডপ এবার জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। তাই অনেকেই যারা কলকাতায় গিয়ে মন্ডপ দেখতে পারেননি,তাদের কথা ভেবেই আমরা এই আয়োজন করেছি। কলকাতার মত আকারে বড় না হলেও প্রায় একই রকম মন্ডপ তৈরীর চেষ্টা করা হবে। পাশাপাশি, অত্যাধুনিক লাইট দিয়ে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা থাকবে। কলকাতার মতোই মিউজিকের সঙ্গে আলোক সজ্জার পরিবর্তনের আনন্দ উপভোগ করবেন দর্শকরা।