চলতি বছরের সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার পেলেন ব্রাত্য বসু
বছরের অন্তিম লগ্নেই সুসংবাদ বাংলার সংস্কৃতি জগতে। চলতি বছরের সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার (sahitya akademi award) দেওয়া হবে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তথা নাট্যকার-পরিচালক ব্রাত্য বসুকে (Bratya Basu)।’মীরজাফর ও অন্যান্য নাটক’ বইয়ের জন্য়ই এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। উল্লেখ্য, মোট ২০টি ভারতীয় ভাষায় এই পুরস্কার দেওয়া হবে। বাংলা থেকে মনোনীত হয়েছেন ব্রাত্য বসু।
‘মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স’ থেকে প্রকাশিত এই বইয়ে রয়েছে যথাক্রমে ‘একদিন আলাদিন’, ‘আমি অনুকূলদা আর ওরা’ এবং ‘মীরজাফর’ নামের তিনটি নাটক। এবার সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কারের জুরি বোর্ডে ছিলেন কবি রণজিত্ দাশ, প্রাবন্ধিক তপোধীর ভট্টাচার্য এবং কথাসাহিত্যিক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়। তাঁরাই নির্বাচিত করেছেন ব্রাত্যকে।
বাংলা নাট্যজগতে আবির্ভাবের সঙ্গে সঙ্গেই সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন ব্রাত্য বসু। ‘অশালীন’, ‘অরণ্যদেব’ ইত্যাদি নাটকের মধ্যে দিয়ে শুরু থেকেই তিনি এক নতুন ধরনের নাট্যরীতি ও আধুনিক সময়ের উপযোগী ভাষ্য রচনা করে চমকে দিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে ‘উইঙ্কল টুইঙ্কল’, ‘রুদ্ধসংগীত’, ‘কৃষ্ণগহ্বর’, ‘মুম্বই নাইটস’-এর মতো একের পর এক নাটকের মধ্য দিয়ে ক্রমশই নিজেকে নতুন থেকে নতুনতর উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন।
বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব বিষ্ণু বসুর ছেলে ব্রাত্য প্রেসিডেন্সি কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্যে অধ্যয়ন শেষ করার পর সিটি কলেজে অধ্যাপনা শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে ‘গণকৃষ্টি’ নামের এক থিয়েটার দলে সাউন্ড অপারেটর হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। সেই সূত্রেই নাটক লেখা ও পরিচালনা শুরু। নাটকের পাশাপাশি চলচ্চিত্র পরিচালনাও করেছেন তিনি।
মঞ্চ ও সেলুলয়েড, দু’জায়গাতেই অভিনয়েও বারবার মুগ্ধ করেছেন ব্রাত্য। ২০১১ সালে দমদম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়ে রাজনীতির ময়দানেও পা রাখেন তিনি। এই মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় তিনি রয়েছেন শিক্ষামন্ত্রীর পদে।