বর্ধমান শহরে বাইক চুরি
শহরে ফের চুরি। এবার বাইক চুরির দৃশ্য ধরা পড়ল সিসিটিভিতে (CCTV)। থানায় অভিযোগের পরিপেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ । শহরের তিনকোনিয়া এলাকার ঘটনা। ভরা বাজার থেকে বাইকটি চুরি হয়। জানা গিয়েছে, জেলার আউসগ্রামের বাসিন্দা সাহানওয়াজ শেখ ব্যবসার যন্ত্রাংশ কেনার জন্য বাইক নিয়ে যান বর্ধমানের তিনকোনিয়া এলাকায়।তিনি জিটি রোডের ধারে বাইক রেখে ব্যবসার কাজে যন্ত্রাংশ কেনার জন্য দোকানে যান।
কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে দেখেন তার বাইকটি নেই। এরপর পাশের একটি দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় এক যুবক ফোন করতে করতে তার বাইকটির চারপাশে ঘোরাঘুরি করতে থাকে। এরপর সুযোগ বুঝে মাস্টার চাবি দিয়ে বাইকের চাবি খুলে বাইকেই রাখা হেলমেট পরে চম্পট দিচ্ছে। বর্ধমান থানায় সাহানওয়াজ শেখ অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এই নিয়ে গত পাঁচ মাসে গোটা শহরজুড়ে একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটছে।
কখনো বাড়িতে তো কখনো আবাসনে। আর চুরির তদন্ত করতে করতে কার্যত ক্লান্ত পুলিশ। সাহানওয়াজ শেখ বলেন, “আমি বর্ধমানে এসেছিলাম গাড়ির কয়েকটি যন্ত্রাংশ নিতে। সেই কারণে গাড়িটি ব্যাঙ্কের সামনে দাঁড় করাই। আমি এরপর হোটেলে খেতে যাই। খেয়ে এসে দেখি বাইকটা নেই। চুরি হয়ে গিয়েছে। সবাইকে জিজ্ঞাসা করি। তারা বলল চুরি হয়ে গেছে। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। এই বাইকটি দিয়েই আমার পেট চলে।
পুলিশ যদি বিষয়টা দেখে ভালো হয়।” আরও এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “এই ঘটনা আজ নতুন নয়। এর আগে এই সব কখনওই হতো না। ইদানিংকালে চুরির ঘটনা বাড়ছে। কখনও সাইকেল চুরি, কখনও বাইক চুরি। পুলিশ কী করছে জানি না। যে ছেলেটির বাইক চুরি হয়ে গিয়েছে তার রোজগার ওই বাইক থেকেই আসে। এখন গাড়িটি চলে গেল। কীভাবে দিনগুজরান হবে জানি না। শুধু চুরি নয়, এলকায় অনেক অসামাজিক কাজ বেড়ে গিয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের কাছে আর্জি যাতে বিষয়টি গুরুত্ব নিয়ে দেখে তারা। ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করে।”