আবারও পথে নামলেন আশা কর্মীরা
ফের পথে নামলেন আশাকর্মী। নানা দাবিতে বর্ধমান শহরের বুকে বড় জমায়েত করে মিছিল করলেন তাঁরা। আশা কর্মীদের রাজ্য সম্পাদিকার দাবি, অবিলম্বে তাঁদের প্রতি চলে আসা বঞ্চনার অবসান না ঘটলে আরও বড় আন্দোলনে যাবেন তাঁরা। এদিন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আশাকর্মীরা বর্ধমান শহরের টাউন হলে জমায়েত হন।এরপর নিজেদের পোশাক পরেই গোটা শহর পরিক্রমা করেন তাঁরা। এরপর, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে গিয়ে নিজেদের দাবি সংবলিত ডেপুটেশন দেন।
এদিন পশ্চিমবঙ্গ আশাকর্মী ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদিকা ইসমেতারা খাতুন জানিয়েছেন, আশাকর্মীদের মূল কাজ গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য পরিষেবা দেওয়া। কিন্তু তাঁদের দিয়ে নানা প্রকল্পের কাজ করানো হয়। কোভিড সংক্রমণের সময়ে তারাই সামনের সারিতে থেকে কাজ করেছেন। অথচ তাঁদের কোনও স্থায়ী বেতন কাঠামো নেই। তাই তাঁদের দাবি, ন্যূনতম একুশ হাজার টাকা বেতন দিতে হবে। দিতে হবে কর্মীর মর্যাদা। এ দাবি না মানা হলে রাজ্যস্তরে বড় আন্দোলনে যাবেন তাঁরা ।
আশা কর্মীদের বিক্ষোভ আজকে নতুন নয়। প্রাপ্য মজুরির দাবিতে বারেবারে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন তাঁরা। কখনও সফল হয়েছে কখনও বা হয়নি তাঁদের আন্দোলন। এর আগে পশ্চিমবঙ্গ আশাকর্মী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বসিরহাট মহকুমার প্রায় তিন হাজার পাঁচশ আশা কর্মী বকেয়া টাকার দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করে। বসিরহাট ইটিন্ডা রোডের বোটঘাট সংলগ্ন বসিরহাট ইছামতি ব্রিজের উপর এই কর্মসূচি হয়। হাতে প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন ও ব্যানার নিয়ে মিছিল শুরু করেন তাঁরা। ব্রিজের উপর চলতে থাকে বিক্ষোভ। সঙ্গে চলে অবরোধ।
এক আশাকর্মী বলেন, “আজ পশ্চিমবঙ্গ আশাকর্মী ইউনিয়নে বসিরহাট সাবডিভিসনে কর্মীরা আজকে অত্যন্ত বিপর্যস্ত অবস্থায় এই রাস্তা অবরোধ করতে বা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছেন। বাঙলার মানুষরা জানে সুষ্ঠ স্বাস্থ ব্যবস্থা আশাকর্মীরাই দিয়ে থাকে। মা-শিশুর পরিষেবা দেওয়া মূল কাজ হলেও আরও একাধিক অতিরিক্ত কাজ এখন আশাকর্মীদের করতে হয়।
এদিকে, ৯ মাস পর্যন্ত বাকি পড়ে রয়েছে তাঁদের ইনসেনটিভ। এই বসিরহাট সাবডিভিসন উত্তর ২৪ পরগনার সমস্ত আশাকর্মীদের বেতন সাত-আট-নয় মাস করে বাকি। তারসঙ্গে সুচতুর ভাবে আশাকর্মীদের বেতনকে আটভাগে ভাগ করে তাদের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হচ্ছে। অথচ তারজন্য আগাম কোনও নোটিশ বা অর্ডার দেওয়া হয়নি। “