পদকজয়ী অরূপ কুমার সাহা

পূর্ব বর্ধমান শহরে এবার ক্রীড়াক্ষেত্রে পদকজয়ী অরূপ কুমার সাহা । তিনি পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলার মধ্যে একমাত্র সোনা রুপা এবং সার্টিফিকেট পেয়ে বর্ধমান জেলার মুখ উজ্জ্বল করেছেন

পূর্ব বর্ধমান শহরে এবার ক্রীড়াক্ষেত্রে পদকজয়ী অরূপ কুমার সাহা । তিনি পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলার মধ্যে একমাত্র সোনা রুপা এবং সার্টিফিকেট পেয়ে বর্ধমান জেলার মুখ উজ্জ্বল করেছেন। তিনি এই সাফল্য পেয়েছেন ৫৬ বছর বয়সে । তার এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত তার পরিবার ও এলাকার মানুষজন সহ আত্মীয় স্বজনেরা । তিনি চারটি ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেছেন 100 মিটার দৌড় 200 মিটার দৌড় 500 মিটার দৌড় হাই জাম্প লং জাম এবং বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রথম দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান পেয়েছেন এবং সবকটি প্রতিযোগিতা তেই পুরস্কার পেয়েছেন । এই প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল তামিলনাড়ুর আন্না স্টেডিয়ামে ।

সেখানে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আনুমানিক প্রায় মোট ৯৫ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছিল। গোটা দেশজুড়ে কয়েক হাজার মানুষ জন অংশগ্রহণ করেন সেখান থেকে এই স্থান অর্জন করেছেন এবং এই প্রতিযোগিতাটি কমবেশি সবাই পুরস্কার পেয়েছে এবং পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার মধ্যে একমাত্র অরূপ কুমার সাহা সাফল্য পেয়েছেন । কিন্তু তিনি কোনরকম কোচিং না নিয়ে  একমাত্র নিজে নিজে ট্রেনিং নিয়ে এই সাফল্য অর্জন করেছেন । তিনি কোন রকম প্রচারের আলোয় এতদিন আসেননি । তিনি ছাড়াও তার পরিবারে তার স্ত্রী এবং তার একমাত্র কন্যা আছেন ,  পরিবারের তরফ থেকে সবরকম সহযোগিতা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি ।

 

তিনি জানিয়েছেন তার এই ক্রীড়া জগতে আসার ক্ষেত্রে একজন এর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তিনি হলেন রানীগঞ্জের একটি স্কুলের শারীর শিক্ষার শিক্ষক কানাইলাল শেঠ । তার এই অবদান কোনদিনও ভোলার নয় , কিন্তু তিনি আজ আর আমাদের মধ্যে নেই একটি দুরারোগ্য অসুখে তিনি পরলোকগমন করেছেন তিনি সবসময় আমার মধ্যেই আছেন তার আশীর্বাদ সবসময় আমার উপরে আছে বলে জানালেন অরূপ বাবু । তিনি আরও বলেন, আজ আমার বাবা থাকলে সবথেকে বেশি খুশি হতেন, আমার বাবার আশীর্বাদ সবসময় আমার মাথার উপর আছে এবং থাকবে আজকে আমার এই সাফল্য মা বাবার আশীর্বাদ এর ফলেই ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *