বর্ধমানের মানকরে আর থামবেনা অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস
২১ আগস্ট থেকে মানকর স্টেশনে আর থামবে না অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস। এমনটাই ফতোয়া দেওয়া হয়েছে ভারতীয় রেলদপ্তরের তরফে। রেল সুত্রে জানা গিয়েছে, পর্যাপ্ত টিকিট বিক্রি না হওয়ার জেরেই অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস আর মানকর রেল ষ্টেশনে থামবে না। এদিকে রেলযাত্রীদের কথায় করোনার রেশ কাটেনি এখনও।যাত্রী কোথা থেকে মিলবে ? আসলে এসব রাজনীতির খেলা। রেলের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ মানকরবাসী।
মানকর স্টেশনে এর আগে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস থামতো না। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী আলুওয়ালিয়া জয় পান। তিনি সাংসদ হওয়ার পর রেলকে দিয়ে মানকর স্টেশনে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেসকে থামানোর ব্যবস্থা করেন। বহুদিনের দাবীপূরণ হওয়ায় খুশী হয়েছিলেন রেলযাত্রীরা। রেলযাত্রীদের এর আগে পানাগড় স্টেশন থেকে ট্রেন ধরতে হতো। করোনাকালে বন্ধ ছিল ধানবাদ – হাওড়া যাতায়াতের এক্সপ্রেস ট্রেন , সদ্য কিছু ট্রেন চালু হয়েছে যার মধ্যে রয়েছে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস। তবে এবার থেকে মানকরে আর অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস দাঁড়াবে না। যা ইতিমধ্যেই রাজনীতিক চাপানউতোর তৈরি করেছে। পাশাপাশি রেলযাত্রীদের মধ্যেও উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায় প্লাটফর্মে টিকিট কাটার ব্যবস্থা নেই , অনলাইনে টিকিট কাটার বিষয়ে সবাই অভ্যস্থ নয়, এখন যাত্রী কমেছে অনেকটাই। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের কোন যুক্তি নেই।
তৃণমূল নেতা পল্লব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ” রেলের এই সিদ্ধান্তকে ধিক্কার জানানোর ভাষা নেই। ” এনিয়ে আন্দোলনে নামবেন বলে জানান পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সহ সভাপতি জাকির হোসেন।
পাশাপাশি স্থানীয় কংগ্রেস নেতা ও মানকরের বাসিন্দা জয়গোপাল দে বলেন ” রেলের এই সিদ্ধান্তকে আমরা ধিক্কার জানাই। আমরা জানতাম সাংসদ ভোটের জন্য লোভ দেখিয়েছিলেন হেরে যাওয়ার পরেই বন্ধ করে দেওয়া হল। “
স্বাভাবিকভাবেই রেলের এই সিদ্ধান্তে সমস্যায় পড়তে হবে রেলযাত্রীদের। ইতিমধ্যেই সেই ভোগান্তির আঁচ পেয়ে চাপানউতোর সৃষ্টি হয়েছে সাধারণের মধ্যে। শুরু হয়েছেেে রাজনৈতিক তরজা।