ধাপে ধাপে টাকা উধাও করল এক ছাত্র

সাইবার ক্রাইমের মাধ্যমে পড়শীর ক্রেডিট কার্ড ও ব্যাংক একাউন্টের টাকা ধাপে ধাপে উধাও করল এক ছাত্র।

সাইবার ক্রাইমের মাধ্যমে পড়শীর ক্রেডিট কার্ড ও ব্যাংক একাউন্টের টাকা ধাপে ধাপে উধাও করল এক ছাত্র। পরিবারের সরলতার সুযোগ বুঝে হাতানোর অভিযোগ ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে।কালনার বাড়ুই পাড়ার সুশান্ত দাসের মোবাইল ফোনে আজ থেকে দুমাস আগে হঠাৎ একটি মেসেজ আসে, আপনার ব্যাংকে ক্রেডিট কার্ডের টাকা ডিউ আছে।আইসিআইসিআই ব্যাংক থেকে এই মেসেজটি এসেছিল।এর পরের দিন তিনি ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারেন ওই ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে এক লক্ষ ৪৪ হাজার ৯০০ টাকা জিনিস কেনা হয়েছে।

 

এরপর আরো জানতে পারেন অ্যাক্সিস ব্যাংক থেকে এক লক্ষ আঠারো হাজার ১৯৬ টাকার জিনিস কেনা হয়েছে।অবাক সুশান্ত বাবু। তিনি জিনিস কেনাকাটি করেননি।দুটি ব্যাংকে সমস্ত হিসাবে ও লেনদেন সংক্রান্ত নথিপত্র সুশান্ত বাবুকে দিয়ে দেয়ার পর সুশান্ত বাবু বাড়ি গিয়ে আলোচনা করেন।এরপর সুশান্তবাবু এবং পরিবারের সন্দেহ হয়, ওই বাড়িতেই যাতায়াত করত পড়শী অর্ঘ্য রায়।  ওপেন ইউনিভার্সিটি থেকে বাংলায় অনার্স করছে  অর্ঘ্য রায় ‌সুশান্ত বাবু ফোনের বিশেষ কিছু  জানেননা। অর্ঘ্যর কাছ থেকে প্রায় তিনি ফোন সম্বন্ধে জানতেন ।সেই সুযোগে  অর্ঘ্য ফোনে থাকা যাবতীয় তথ্য লোপাট করে দেয় বলে অভিযোগ।

 

এরপর এই ঘটনা প্রতিবেশীদের জানালে প্রতিবেশীরা অর্ঘ্যের বাড়িতে গেলে অর্ঘ্য স্বীকার করে নেয় যে ,হ্যাঁ  এই টাকা আত্মসাৎ করেছেন।এরপর কালনার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এর মধ্যস্থতায় সাদা কাগজে লেখাপড়া হয় যে এই টাকা তিনি ও পরিবার শোধ করে দেবেন।কদিন পর টাকা না পাওয়াতে অর্ঘ্যের বাড়িতে গেলে পরিষ্কার জানিয়ে দেয় অর্ঘ্য, বাবা লটারি টিকিট বিক্রি করে অভাবের সংসারে এত টাকা দিতে পারবে না ।

 

সুশান্ত বাবুরদের পরিষ্কার  এও জানিয়ে দেয় এই টাকা দিতে  না পারায় বড়জোর জেল খাটবে।এর বেশী কিছু হবেনা।এই কথা শুনে সুশান্ত বাবু চলতি মাসের ১২ তারিখে কালনা থানাতে অর্ঘ্য রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে আজ অর্ঘ্যকে পুলিশ গ্রেফতার করে এবং কালনা মহকুমা আদালতে সাত দিনের পুলিশ হেফাজত হচ্ছে আবেদন করলে কালনা আদালত চার দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *