গোলায় ফাঁসি লাগিয়ে মৃত্যু হল এক স্কুল ছাত্রী
এলাকার এক দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী ডলি রায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করায় ঘটনায় শোকের ছায়া
জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের মাধবডাঙ্গা এলাকার এক দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী ডলি রায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করায় ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়। জানা গেছে নাথুয়ার ধর্মদেব রায় নামে এক যুবকের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে ফেসবুকের মাধ্যমে । দীর্ঘদিন ধরে তাদের প্রেমের সম্পর্ক এরপর কিছুদিন ধরে দুজনের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয় এর ফলে গোলায় রওনা দিয়ে নিজের ঘরে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন, এরপর পরিবারের সদস্যরা তাকে দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি জলপাইগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যায় গেলে মাঝ রাস্তায় তার মৃত্যু হয় পরিবার সূত্রে খবর।
জানা গেছে মৃত্যুর আগে ডলি রায় একটি চিঠি লিখে যায় তার মৃত্যুর জন্য তার প্রেমিক ধর্ম দেবরায় দায়ী। সেই চিঠি দেখতে পেয়ে তার পরিবারের একটি ময়নাগুড়ি থানায় অভিযোগ জমা করেন পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ।রবিবার বিকেলে তার মৃতদেহ বাড়িতে ফিরলে কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার,এ বিষয়ে মৃত ডলি রায়ের বাবা বলেন, আমার মেয়ের সঙ্গে এক ছেলের সম্পর্ক ছিল তবে কিছুদিন ধরেই তাদের দুজনের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয় এর ফলে আমার মেয়ে নিজের ঘরে গলায় ফাঁস লাগায়। মৃত্যুর আগে একটি চিঠি লিখে যায় তার মৃত্যুর জন্য ধর্মদেব রায় দায়ী।
এ বিষয়ে ওই এলাকার এক্স পঞ্চায়েত বিশ্বনাথ রায় বলেন, আমার গ্রামের এক মেয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন আমি যতটুক শুনেছি তাদের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে নাথোয়ার এক যুবকের সঙ্গে, অনেকদিন ধরেই ছিল তাদের নাকি প্রেমের সম্পর্ক কিন্তু তাদের দুজনের মধ্যে কোথা কাটাকাটি হয় এর ফলে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। মৃত্যুর আগে তার বন্ধুবান্ধবকে এর সাথে ফোন কথা বলেযায় , এর পরে নিজের ঘরে ফাঁস লাগায় এরপর বাড়ির লোকেরা দেখতে পায়। তড়িঘড়ি জলপাইগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া মাঝ রাস্তায় মৃত্যু হয়।