গোয়ায় তৃনমূল ছাড়ার হিড়িক , আরও চার নেতার ইস্তফা
গোয়া দখলের লক্ষ্যে ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল। সামনের বছর গোড়াতেই ভোট। কিন্তু ক্রিসমাসেই ভাঙনের মুখে পড়ল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। পরপর নেতারা ইস্তফা দিচ্ছেন। গতকাল প্রাক্তন বিধায়ক লাভু মামলেদকর বিস্ফোরক চিঠি লিখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তারপর আরও চারজন নেতা তৃণমূলের সদস্যপদ ছেড়ে দিয়েছেন।যাঁরা প্রত্যেকেই সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে কলকাতায় এসে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন।
নবান্নে গিয়ে দেখা করেছিলেন মমতার সঙ্গে। লাভু যে কারণে তৃণমূল ছেড়েছেন বলে দিদিকে চিঠিতে লিখেছেন বাকি চার জনেরও কথা কমবেশি এক। কী কথা? তৃণমূল আসলে একটা সাম্প্রদায়িক দল। এরা গোয়ায় সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করছে। রাজনৈতিক অভিসন্ধিতে এরা মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির সঙ্গে ভোটের আগে জোট করেছে। কৌশল হল, গোমন্তক পার্টি হিন্দুদের ভোট টানবে আর তৃণমূল খ্রিষ্টানদের। লাভু এও লিখেছিলেন, মমতার দলকে দেখে তিনি প্রথমে আপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন।
কিন্তু গত ১৫-২০ দিনে তাঁর এটা দৃঢ় ভাবে মনে হয়েছে যে, তৃণমূল আসলে বিজেপির থেকেও সাংঘাতিক। মারাত্মক সাম্প্রদায়িক। যদিও বড়দিনের মধ্যে এই ভাঙন নিয়ে তৃণমূল কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। দ্য ওয়াল-এর তরফে গোয়া তৃণমূলের ইনচার্জ মহুয়া মৈত্রকে ফোন করা হয়েছিল, তিনি ফোন ধরেননি।
তবে তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ তথা গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলারিও বলেছেন, তৃণমূলের বাস সঠিক গোন্তব্যে যাবে। মাঝখানে কেউ নেমে গেলে সেটা তাদের ব্যাপার। সামনের বছর গোড়াতেই গোয়ায় ভোট। আগামী পরশু দিন অর্থাত্ ২৭ ডিসেম্বর গোয়ায় যাওয়ার কথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার আগে এই ভাঙন তৃণমূলের পক্ষে অস্বস্তির বলেই মত অনেকের।