নবান্ন উৎসবের পুজোয় প্রসাদ খেয়ে অসুস্থ একশোর বেশি গ্রামবাসী
মনসা মন্দিরে চলছিল নবান্ন উত্সব। আর সেই উত্সবে ঘটল বড়সড় বিপত্তি । প্রসাদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন বহু মানুষ। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের দেওয়ানদিঘি থানার পিলখুরিগ্রামে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, প্রসাদ খাওয়ার ফলে একশোর বেশি মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।যার মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন ১২ জন। বর্ধমান মেডিকেল কলেজে তাদের চিকিত্সা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ওই গ্রামে প্রশাসনের তরফে একটি মেডিকেল টিম পাঠানো হয়েছে। ওই মেডিকেল টিম বাকি অসুস্থ ব্যক্তিদের শারীরিক অবস্থা কেমন রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় প্রতিবছর মনসা মন্দিরে নবান্ন পুজো হয়। এদিনও নবান্ন উত্সব উপলক্ষে ওই মন্দিরে পুজো হয়। তারপরে পুজোর প্রসাদ বিতরণ করা হয় গ্রামের মানুষদের মধ্যে। তা খাওয়ার পরেই ঘটে বিপত্তি। একশোরও বেশি মানুষের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। ডায়েরিয়া,বমি, পেট ব্যাথা প্রকৃতি উপসর্গ দেখা যায়।
এই ঘটনার খবর পাওয়ার পরে তড়িঘড়ি সেখানে মেডিকেল টিম পাঠায় জেলা প্রশাসন। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্যের কর্মাধ্যক্ষ বাবুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘ ঘটনার খবর পাওয়ার পরে প্রশাসনের তরফে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রশাসনিক আধিকারিক এবং জনপ্রতিনিধিরা গ্রামে গিয়ে অসুস্থ মানুষের খোঁজ নেন। তবে পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নতুন করে আর কারও শরীরে উপসর্গ দেখা দেয় নি।’
চিকিত্সকদের মতে, খাদ্যে বিষক্রিয়ার ফলে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তবে কি কারণে খাদ্যে বিষক্রিয়া হল তা খতিয়ে দেখা হবে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। এই দিনে ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বভাবিকভাবেই এলাকার মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। প্রসঙ্গত, এর আগেও একই ঘটনা ঘটেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জীবনতলা এলাকায়। সেখানেও প্রসাদ খেয়ে ১০০ এর কাছাকাছি মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।