অনিয়মের অভিযোগ তুলে পথে পড়ুয়ারা

রেজাল্টের দাবিতে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে (Burdwan University) বিক্ষোভ দেখাল ছাত্রছাত্রীরা। ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের টালবাহানার জন্য দীর্ঘদিন ধরে তারা রেজাল্ট বের হচ্ছে না। ফলে পরবর্তীতে ভর্তির ক্ষেত্রে চরম অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে তাদের।শুধু তাই নয় ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে একাংশ দাবি করেছেন, ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে তাদের পার্ট ওয়ানের পরীক্ষা হলেও সেই উত্তরপত্র তারা এখনো হাতে পাননি। এছাড়াও, ২০১৯-২১ সালের সেশন হলেও পার্ট-টু এর পরীক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না।

যেখানে অন্যান্য কলেজের ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষার রেজাল্ট হাতে পেয়ে গিয়েছে সেখানে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষা বিভাগের উদাসীনতায় ছাত্রছাত্রীরা সমস্যায় পড়েছে বলে তাদের অভিযোগ। এরপরই আজ পার্ট টু এর পরীক্ষার দিন ঘোষণা এবং পার্ট ওয়ানের রেজাল্টের দাবিতে বুধবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ দেখালো বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষা বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা। পোস্টার, ফ্ল্যাগ হাতে নিয়ে তারা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখায়। ছাত্রছাত্রীদের দাবি, এবছর ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের পরীক্ষা ও রেজাল্ট দেওয়ার ব্যবস্থা করুক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এক ছাত্রী অভিযোগ জানিয়ে বলেন, “আজ দুই বছর ধরে আমরা একদম শেষে চলে এসেছি। আর কিছু নেই আমাদের কাছে। ২০১৯-২১ আমাদের সেশন। এখনও পার্ট ওয়ানের রেজাল্ট দেয়নি। পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে না। অনেকেই আছে যারা বিএড এর জন্য ভর্তি হতে চাইছে। তারাও যেহেতু রেজাল্ট দেখাতে পারছে না সেই কারণে তাদেরও বিএড-এ ভর্তি নিচ্ছে না। এদিকে, ভিসি আমাদের সঙ্গে দেখা করছে না। আজকে যতক্ষণ না আমরা সদুত্তর পাব ততক্ষণ আমরা এখানে বিক্ষোভ দেখাতে থাকব। কোথাও যাব না।”

প্রসঙ্গত, গতকাল পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল কলেজ থেকেও ছাত্র-ছাত্রীদের পথ অবরোধ করতে দেখা যায়।কলেজ ফি মকুবের দাবিতে রাজ্য সড়ক অবরোধ করতে থাকেন তারা। যার জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ঘাটাল পাঁশকুড়া রাজ্য সড়ক। দেখা দেয় তীব্র যানজট। খবর পেয়ে ঘাটাল থানার পুলিশ গিয়ে পড়ুয়াদের বুঝিয়ে যান-চলাচল স্বাভাবিক করে দেয়।

ঘাটাল পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কের হাসপাতাল মোড়। অভিযোগ দীর্ঘদিন করোনা আবহে বন্ধ ছিল কলেজ। দ্বিতীয় বর্ষের প্রথম ও দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা দিতে হয়েছে ব্যক্তিগত কাগজ কিনে । কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ কলেজের লাইব্রেরি ফি, বিদ্যুত্‍ বিল, পানীয় জলের বিল, ইউনিয়ন ফি সহ নানান ফি আদায় করছেন ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে। এইসকল অভিযোগের জেরে পথে নামেন পড়ুয়ারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *