প্রান্তিক জেলা পুরুলিয়ার অধিকাংশ মানুষই কৃষিজীবী। চাষই তাদের একমাত্র ভরসা। স্বাধীনতার চুয়াত্তর বছর পরেও পুরুলিয়ায় সেচ যোগ্য জমির পরিমাণ বড়ই অল্প। তাই চাষের জন্য চাষীদের আকাশের ভরসাতেই থাকতে হয়। চলতি বছরে পুরুলিয়ার চাষীদের অবস্থা আরই বেগতিক হয়ে পড়েছে।
মাঝে মাঝে অকাল বর্ষণে ফলন এবারে বিগত বছর গুলোর তুলনায় ভালো হয়নি। তবুও মন্দের ভালো যা হয়েছিল তাও বোধহয় চাষিরা ঘরে তুলতে পারবে না। কয়েক দিন আগেই হয়ে গেল অকাল দুর্যোগ। একটানা তিন দিন বৃষ্টি হল। আর সেই বৃষ্টিতে পাকার মুখে ধান ভিজে গেল।জমিতে বা খামারে ধান ভিজে যাওয়ায় অধিকাংশ চাষীর মাথায় হাত পড়েছে।

জানা যায় এই জেলার কেউ গয়নাগাটি বন্ধক দিয়ে চাষ করছেন , কেউ বা আবার সুদের উপর টাকা ধার নিয়ে চাষ করছেন। বর্তমানে তাদের অবস্থা আরও সংকটজনক বলে জানিয়েছেন পুরুলিয়ার ঝালদা ১ নং ব্লক এলাকার কড়াডি গ্রামের একজন চাষী মানস চন্দ্র কুইরি ও খামার গ্রামের ধান চাষী রাজকুমার মাহাত।

অকাল দুর্যোগ পাকা ধানে মই দিলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে দাবী করছেন আবার অনেক চাষী। তবে পিছিয়ে পড়া পুরুলিয়া জেলার চাষীদের অনেকেই মনে করছেন এইরকম সংকট জনক পরিস্থিতিতে সরকারের তাদের কথা ভাবা দরকার।