বর্ধমানে মাঝরাস্তায় বিশাল সাইজের চন্দ্রবোড়া
মাঝরাস্তায় বিশাল সাইজের চন্দ্রবোড়া! আর তা দেখতে পেয়েই রীতিমত ভিড়মি খাওয়ার জোগাড় এলাকার বাসিন্দাদের।একেবারে হৈ হৈ রৈ রৈ কাণ্ড। তবে সাপটিকে না মেরে ঝুড়ি চাপা দিয়ে আটক করেন বাসিন্দারা। এরপর খবর দেওয়া হয় বনদফতরে।বনদফতরের কর্মীরা এসে সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তাঁকে গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বন দফতর।
বর্ধমান শহরের ডিভিসি মোড় লাগোয়া মালঞ্চ এলাকায় দেখা মিলল এই প্রমাণ সাইজের চন্দ্রবোড়া সাপটির। পথ চলতি এক বাসিন্দা একেবারে সামনে গিয়ে পড়ে ছিলেন। ছিটকে পালিয়ে কোনও রকমে প্রাণ বাঁচান। হইচই শুরু হতেই ভিড় করেন এলাকার বাসিন্দারা। স্বাভাবিক কারণেই রাস্তায় যান চলাচল, লোক চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তারই মধ্যে কিছু তত্পর বাসিন্দা ঝুড়ি নিয়ে এসে চাপা দিয়ে দেয় সাপটিকে। এরপর খবর দেওয়া হয় বনদপ্তরে।
স্থানীয় বাসিন্দা অশোক কুমার রায় বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে আমার পাশের বাড়িতে প্রথম সাপটিকে দেখা গিয়েছিল।সাপ তাড়াতে কার্বলিক অ্যাসিড দিয়েছিলেন ওই বাড়ির সদস্যরা। তাতে সাপটি নর্দমার পাশে লুকিয়ে পড়ে। বেশ কিছু সময় পর সাপটি ওই এলাকা থেকে পালিয়েও যায়। এরপর বিকালে তাকে ফের মাঝ রাস্তায় দেখতে পাওয়া যায়। এরপরই ঝুড়ি চাপা দিয়ে খবর দেওয়া হয় বন দপ্তরে।
বনদপ্তরের কর্মীরা সাপটি উদ্ধার করার পর জানান, এলাকার বাসিন্দারা বোঝালেন বন্যপ্রাণ সম্পর্কে তাঁরা বিশেষ সচেতন। বন্য প্রাণের প্রতি ভালোবাসা থেকেই তারা সাপটিকে না মেরে আমাদের খবর দিয়েছেন। কার্বলিক অ্যাসিড দেওয়ায় সাপটি কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাকে সুস্থ করে গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।
বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে বন দপ্তর কর্মীদের পরামর্শ, সাপ তাড়াতে বাড়ির আশপাশে ঝোপঝাড়ে কার্বলিক অ্যাসিড দেওয়া যেতে পারে। সাপ দেখা গেলে তার আশপাশে ওই অ্যাসিড ছড়ানো যেতে পারে। কিন্তু সাপের গায়ে কখনওই কার্বলিক অ্যাসিড দেওয়া উচিত নয়। সবচেয়ে ভালো হয় সাপের আশপাশে সাদা ফিনাইল দেওয়া হলে। তাতেই সাপ এলাকা ছেড়ে চলে যাবে।