সিভিক ভলেন্টিয়ার্স দের দায়িত্ব ঠিক কি ? দেখে নিন

মূলত যান শাসন ও মেলা-পার্বণে ভিড় সামলানোই রাজ্যের সিভিক ভলেন্টিযারদের কাজ। সংশ্লিষ্ট থানার অন্তর্গত এলাকার বাসিন্দেরই সিভিক পুলিশ হিসাবে নিয়োগ করা হয়। ২০ থেকে ৩০ বছরের যুবকরা সিভিক পুলিশ পদের জন্য আবেদন করতে পারেন।

২০১৪ সালে সিভিক পুলিশ নিয়োগের সময়েই বলা হেয়েছিল জেলা স্তরে কমিটি তৈরি করে সিভিক পুলিশ ভলান্টিয়ার্স বাছাই করতে হবে।শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিক পাশ হলেই হবে। এছাড়াও আবেদনকারীকে স্কুল বা ক্লাব স্তরের খেলাধুলোর সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে। আবেদনকারীর বিরুদ্ধে কোনও থানার কোনও ক্রিমিনাস রেকর্ড থাকা যাবে না। এবং তাঁকে মেডিক্যালি ফিট হতে হবে।



সিভিক ভলেন্টিয়ারদের একটি ট্রেনিং দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট পুলিশ লাইনে ১০ দিনের একটি ট্রেনিং কোর্স থাকে। পাশাপাশি পুলিশ লাইনে প্রতি মাসে একদিন করে রিপ্রেসার কোর্সও করানো হয়। এই কর্সের পর তাঁদের ট্রাফিক গার্ড বা পুলিশ স্টেশনে নিয়োগ করা হবে।


কী ধরনের ডিউটি করতে হয় তাঁদের?
• ট্রাফিক পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট ইউনিটে পুলিশকে সহায়তা করবে সিভিক ভলেন্টিয়ার্সরা।
• যে কোনও বড় উত্‍সবে সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য পুলিশকে সহায়তা করা।
• অথরাইজড গাড়ি পার্কিংয়ের ক্ষেত্রে পুলিশকে সাহায্য করা।
• জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশকে সহায়তা করা।
• সংশ্লিষ্ট ইউনিট প্রধান জনসাধারণের সহায়তার সঙ্গে সম্পর্কিত যে কোনও দায়িত্ব দিতে পারে সিভিক ভলেন্টিয়ার্সদের।
প্রথম দফায় কলকাতা-সহ রাজ্যের পাঁচটি নতুন কমিশনারেটে ৫১০০ জন সিভিক পুলিশ নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছিল অর্থ দফতর। সেই সময় অবশ্য আপত্তি জানিয়েছিলেন একাধিক পুলিশকর্তা। তাঁদের বক্তব্য ছিল, সিভিক পুলিশের পিছনে বিপুল অর্থ খরচ করা হলেও আখেরে বাহিনীর লাভ হচ্ছে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *