রেশনের তালিকা থেকে মৃতদের নাম বাদ দিতে তৎপর নবান্ন
পরিবারের সদস্য মারা গিয়েছে কিন্তু তার নামে থাকা রেশন কার্ড জমা করছে না বাড়ির লোক। এইভাবে রাজ্য সরকারের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য না থাকায় রেশন নিয়ে নানান গাফিলতি আচমকাই ধরা পড়েছে নবান্নের হাতে। রাজ্যের তরফে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রক্রিয়া চালু করতে গিয়ে আসল তথ্য উঠে এসেছে সরকারের হাতে।
সেখানে দেখা গিয়েছে, রাজ্যে আগেই চালু ছিল ১০ লক্ষ ৪০ হাজার রেশন কার্ড। ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পের পর রাজ্যের রেশন গ্রহীতাদের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ১০ লক্ষ ৬০ হাজার হতে পারে। এই পরিসংখ্যানেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকার। খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যে রেশন কার্ড সারেন্ডার করার সংখ্যা অত্যন্ত নগণ্য।
এত সংখ্যক কার্ড হল কীভাবে? চিন্তা বেড়েছে নবান্নের। তাই বিশেষ বৈঠক করে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে নবান্ন। বৃহস্পতিবার রাজ্যের তরফে নির্দেশ এবার থেকে প্রতি মাসে জন্ম-মৃত্যুর পঞ্জিকরণ দফতরের আধিকারিকদের মৃতের তালিকা পাঠাতে হবে রাজ্য সরকারের কাছে। জমা দিতে হবে সমব্যথী প্রকল্পের উপভোক্তাদের তালিকাও।
আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষেরা মূলত রেশন কার্ডের মাধ্যমে অভাবের সংসারে বেশি রেশন তোলে। কিন্তু সেটা বৈধ্য নয়। তাই সমব্যথী প্রকল্পে থাকা তথ্যই হাতিয়ার করেছে সরকার। প্রতিবছর রেশন বাবদ রাজ্য সরকারের ভাঁড়ার থেকে খরচ হয় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা।
নবান্ন সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তিদের নাম বাদ দিয়ে রেশন উপভোক্তাদের প্রকৃত তালিকা পেলে কমপক্ষে ৫০০ কোটি টাকা বাঁচবে সরকারের।
তাই রেশন নিয়ে নানা পদক্ষেপের মাঝে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।