পায়রা হত্যা করার অভিযোগ বর্ধমানে
মাস দেড়েক আগে বর্ধমান থানায় গাছকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। এবার পায়রা মারার অভিযোগ দায়ের হল বর্ধমান থানায়।
বর্ধমান শহরের নীলপুরের কমলাদীঘি পাড় এলাকার বাসিন্দা শান্তনু দাসের
বাড়ি থেকে উড়ে গিয়ে প্রতিবেশী নিরূপ কুমার দাসের বাড়ির ছাদে প্রতিদিন খেলা করে বেড়াতো একঝাঁক পায়রা ও ঘুঘু। আর এতেই আপত্তি ছিল বাড়ি মালিক নিরূপবাবুর।
অবলা, নিরীহ এই পাখিদের অত্যাচার বন্ধ করতে বাড়ি মালিকের বিরুদ্ধে ছাদের গাছপালায় বিষ দিয়ে পাখিদের মেরে ফেলার অভিযোগ দায়ের হল বর্ধমান থানায়। নির্মম এই কাণ্ডের প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই সোচ্চার হয়েছে শহরের একাধিক পশু পক্ষী প্রেমী সংগঠন। অভিযোগকারী পশুপ্রেমী শান্তনু দাসের মা সবিতা জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর বাড়ির ছাদে পাখিদের বসবাস করার ব্যবস্থা করে রেখেছেন। কয়েকটি পোষা পাখিও আছে এরমধ্যে । প্রতিদিন সকালে এদের ছেড়ে দেওয়া হয়, উড়ে বেড়ানোর জন্য।
পায়রা, ঘুঘু পাখির পাশপাশি অন্যান্য আরো কিছু পাখি রোজ খাবার খোঁজে তাঁদের বাড়ির ছাদে এবং আশপাশের প্রতিবেশীদের ছাদে এসে ভিড় জমাত । কিন্তু আপত্তি ছিল তাঁরই আত্মীয় তথা প্রতিবেশী নিরূপ কুমার দাসের। তার বাড়ির ছাদে পাখিদের আনাগোনা পছন্দ করতেন না তিনি।
শান্তনু বাবু গত রবিবার বাড়িতে ছিলেন না। পুলিশের পরীক্ষা দিতে বাইরে গিয়েছিলেন। আর সেইদিনই তাঁর মা এবং পরিবারের সদস্যরা লক্ষ্য করেন পায়রাগুলো ভীষণভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
পরে এদের মধ্যে ৬টি পায়ারকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন শান্তনু বাবু । তবে বাকী পায়রাগুলির এখনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান শান্তনু বাবুর মা। এই ঘটনায় পক্ষীপ্রেমী শান্তনু দাস ভেঙে পড়েছেন।তিনি প্রতিবেশী নিরূপ কুমার দাসের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বর্ধমান থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। বর্ধমান জেলা পশু হাসপাতালের চিকিৎসক বাসুদেব ঘোষ বলেন, মৃত পায়রাগুলির ময়নাতদন্ত করা হবে।