অনাস্থা প্রস্তাব এনে প্রধান থেকে অপসারণ করল তৃণমূলের সদস্যরা
মালদা : দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে প্রধান থেকে অপসারণ করল তৃণমূলের সদস্যরা। প্রধানের প্রতি আস্থা না থাকায় অনাস্থা প্রস্তাব সম্পন্ন হল মানিকচকের ধরমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। বৃহস্পতিবার কড়া পুলিশি ঘেরাটোপের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হল মালদার মানিকচক ব্লকের ধরমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অনাস্থা সভা। সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের সম্মতিতে প্রধান নাহারুল শেখকে অপসারণ করল তৃণমূল দলের সদস্যরা।
সাত আসন বিশিষ্ট মানিকচকের এই ধরমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। প্রধান নাহারুল শেখ এর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে দলেরই চার সদস্য। সে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রাম পঞ্চায়েত ভবন এর অনাস্থার তলবি সভা ডাকা হয় ব্লক প্রশাসনের তরফে। প্রধানসহ তিন সদস্যের অনুপস্থিত থাকলেও অনাস্থার পক্ষের চার সদস্য উপস্থিত ছিলেন এই সভায়। ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে সভা সম্পন্ন হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সম্মতিতে সভায় গৃহীত হয় প্রধানকে অপসারণের প্রস্তাব।
এপ্রসঙ্গে অনাস্থার পক্ষে থাকা পঞ্চায়েত সদস্য তথা উপপ্রধান বলাই সাহা জানান, প্রধানের বিরুদ্ধে আস্থা না থাকায় অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য সম্মতিতে।আজ অনাস্থা সভার মধ্যে দিয়ে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। পাশাপাশি প্রধানের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ, এগুলো কার থেকে শুরু করে পঞ্চায়েতের বিভিন্ন টেন্ডারে সদস্যদের অন্ধকারে রেখেই একনায়কতন্ত্র চালিয়েছে পঞ্চায়েত প্রধান। দলের প্রধান থাকলেও তাই তার বিরুদ্ধে অনাস্থা করা হয়েছে।
ওরস তার পক্ষে থাকা অন্যতম সদস্য রবিউল ইসলাম জানান, দলের প্রধান হলেও কোন রকম ভাবেই দলের সদস্যদের সাথে নিয়ে চলে নি কোনদিন। তবে দলের অঞ্চল নেতৃত্বকে জানিয়েই এই অনাস্থা করা হয়েছে। আগামীদিনের সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে নতুন প্রধান গঠন হবে ধরমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে।
তবে এই অনাস্থার ঘটনায় নিজের দায়িত্বে অনাস্থা করিয়েছেন তা কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ধরমপুর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি রাকিব হোসেন।তিনি জানান, প্রধান সঠিকভাবে কাজ করতে পারছিলেন পারছিল না। অন্যান্য সদস্যদের গুরুত্ব দিতেন না তিনি। তাই সদস্যরা আমাকে জানিয়েছিল।সেই পরিপ্রেক্ষিতেই অনাস্থা করা হয়েছে।