এক মুখ দাড়ি,খুবই উপকারী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
সৌজন্যে :ইন্টারনেট
বিশ্বের তাবড় চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা একমত, পুরুষের দাড়ি রাখা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। চলুন এ বার জেনে নেওয়া যাক দাড়ি রাখার স্বাস্থ্যকর দিকগুলো সম্পর্কে…
আজকাল অনেকেই দাড়ি রাখেন। কারণ, এটাই এখন হট ফ্যাশন! রণবীর সিং থেকে বিরাট কোহলি— সকলেই রাখছেন মুখভর্তি দাড়ি। আর দেখাদেখি এঁদের ভক্তকূলও দাড়ি রাখতে ব্যাকুল! কিন্তু আপনি জানেন কি, দাড়ি রাখা শুধু মাত্র ফ্যাশনের জন্য নয়, আপনার সুস্বাস্থ্যের সঙ্গেও রয়েছে এর সম্পর্ক! কারণ, একাধিক গবেষণার মাধ্যমে বিশ্বের তাবড় চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা একমত, পুরুষের দাড়ি রাখা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। জেনে নেওয়া যাক দাড়ি রাখার স্বাস্থ্যকর দিকগুলো।
১) শেভিং র্যাশ থেকে মুক্তি: অনেকের ত্বক খুব সেনসিটিভ হয়ে থাকে। তারা যদি বারবার শেভ করেন তাহলে ত্বকের সেনসিটিভিটির কারণে শেভিং র্যাশের সৃষ্টি হয়। দাড়ি রাখায় সমস্যা থেকে মুক্তি।
২) অ্যালার্জি থেকে দূরে রাখে: পুরুষদের মধ্যে যাদের ধুলো ময়লা এবং রোদে অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য দাড়ি রাখা বেশ উপকারী। এতে মুখের ত্বক সরাসরি ধুলো-বালি এবং রোদের সংস্পর্শে আসে না। তাই অ্যালার্জি সংক্রান্ত সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
৩) স্কিন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়: সরাসরি রোদ লাগা, শেভ করার সময় ও শেভ করার পর নানা ধরণের কেমিক্যাল ব্যবহার করা ইত্যাদি স্কিন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। তাই পুরুষদের ক্ষেত্রে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা (ডারম্যাটোলজিস্ট) স্কিন ক্যান্সার থেকে রক্ষা পেতে দাড়ি রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
৪) ত্বকে বয়সের ছাপ ধীরে পড়ে: যারা দাড়ি রাখেন তাদের ত্বকে বয়সের ছাপ ধীরে পড়ে। মার্কিন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা ডঃ অ্যাডাম ফ্রাইডম্যান-এর মতে, মুখের ত্বক দাড়ি দিয়ে ঢাকা থাকার ফলে সূর্যের আলোর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব হয়। এতে ত্বকের ক্ষতি কম হয়, বলিরেখা পড়ে অনেক দেরিতে। তাই ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেরি হয়।
৫) ব্রনর ঝামেলা থেকে মুক্তি: পুরুষের ত্বকেও ব্রন ওঠে। শেভিং করার বিভিন্ন কেমিক্যাল মিশ্রিত উপাদান ও ধুলো-বালি এই সমস্যা আরও বাড়িয়ে তোলে। যারা দাড়ি রাখেন তারা নিয়মিত দাড়ির যত্ন নিলে এই ধরণের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন খুব সহজেই।
৬) হাঁপানির প্রকোপ কমায়: গবেষণায় দেখা যায় দাড়ি রাখা নাকে মুখে ক্ষতিকর ধুলো-বালি ঢুকতে বাঁধা প্রদান করে। ফলে ডাস্ট মাইট যার ফলে হাঁপানির প্রকোপ বৃদ্ধি পায় তা অনেকাংশে কমে আসে। ফলে হাঁপানির সমস্যা থেকেও মুক্ত থাকা সম্ভব হয়।