মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয়ে মূর্তি বাড়িতে বসিয়ে নিয়মিত কাঁসরঘন্টা বাজিয়ে পুজো করেন
তুহিন শুভ্র আগুয়ান: ভগবানপুরঃ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নয়, ভগবান হিসেবে পুজো করেন ভূপতিনগরের সুদর্শনবাবু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছাত্র রাজনীতির সময় থেকেই তার ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ ভূপতিনগরের সুদর্শন রায়। এরপর ধীরে ধীরে তিনি যখন মন্ত্রী এবং তারপর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হলেন তখন যেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একজন সাধারণ নারীর আসন থেকে সরিয়ে ভগবানের আসনে বসান এই সুদর্শনবাবু। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি যেন সুদর্শনবাবুর মনে এক অন্য জগতের দুয়ার খুলে দেয়। ক্রমে ক্রমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী থেকে সুদর্শন বাবুর কাছে হয়ে ওঠে দশোভূজা।
যিনি আদতে দুই হাতে মানুষের সেবা করলেও তিনি দিব্যচক্ষু দিয়ে দেখতে পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দশ হাতে মানুষের সেবায় নিমগ্ন। আর তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একেবারে ভগবানের আসনে বসিয়ে দেন সুদর্শন রায়। নিজের বাড়িতেই কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্বেত পাথরের মূর্তি তৈরি করেন সুদর্শনবাবু। আর সেই মূর্তিকে নিয়মিত প্রত্যেকদিন পুজোও করেন। বাড়িতে গৃহদেবতার আসনেই বসিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
প্রত্যেক দিন সকাল হলে তিনি নিজের বাগানে ফোটা ফুল দিয়ে দেবী জ্ঞানে পুজো করেন সুদর্শন বাবু। সকাল, দুপুর, সন্ধ্যা অন্যান্য গৃহদেবতার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও পুজো পান সুদর্শন বাবুর হাতে। কাঁসরঘন্টা শঙ্খ ধ্বনির মাধ্যমে গোটা বাড়ি যেন হয়ে ওঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরাধনা ক্ষেত্র। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সুদর্শন বাবুর এখন এই একটাই আবেদন। সুদর্শনবাবু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার কাছে দেবীরূপী। তাই আমি তাকে ভগবানরূপে পুজো করি। আমার শেষ ইচ্ছে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একবার সামনাসামনি সাক্ষাৎ করার।”