ভারতে কবে পাওয়া যাবে করোনা ভ্যাকসিন জানালেন খোদ স্বাস্থ্য মন্ত্রী
সৌজন্যে :ইন্টারনেট – কবে নাগাদ দেশে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক টিকা চালু হতে পারে! এটাই এখন দেশবাসীর একমাত্র প্রশ্ন। উৎসবের মরসুমে কেমন যেন থমথমে চারপাশ। চিন্তা একটাই, করোনা সংক্রমণ! গত ক’দিনে ভারতে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। রোজই প্রায় এক লাখ এর কাছাকাছি নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসন কিন্তু আশার বাণী শোনাচ্ছে। এই যেমন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী ড.হর্ষবর্ধন এদিন সংসদে দাঁড়িয়ে বললেন, করোনাতে মৃত্যুর হার ইউরোপের অনেক দেশের থেকে ভারতে তুলনামূলক অনেকটাই কম। তিনি এদিন দাবি করেছেন, দেশে এখন করোনায় আক্রান্ত হয়ে রোগী মৃত্যুর হার মাত্র ১.৬৪ শতাংশ। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে মৃত্যুর হার আরো অনেকটাই কমে যাবে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
ড.হর্ষবর্ধন এদিন বলেছেন, “সারা দেশে এখন রোজ ১১ লাখ মানুষের করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। প্রতিদিন করোনা পরীক্ষার নিরিখে আমরা এখন বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ। আমাদের সামনে রয়েছে একমাত্র আমেরিকা। আশা করছি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে করোনা টেস্ট-এর ক্ষেত্রে আমরা আমেরিকাকেও ছাপিয়ে যাব। বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, জুলাই-অগাস্টে ভারতে করোনায় মৃতের সংখ্যা কয়েক কোটি হতে পারে। কিন্তু আমরা সেই সম্ভাবনা ঠেকিয়ে দিয়েছি। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে আমরা কিন্তু একদিনও বসে থাকিনি। ৭ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনার ব্যাপারে আমাদের সতর্ক করেছিল। ৮ জানুয়ারি আমরা প্রথমবার ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার রাস্তা খুঁজতে আলোচনায় বসেছিলাম।”
তিনি এদিন জানান, এখন দেশে করোনা থেকে সেরে ওঠা রোগীদের হার ৭৮-৭৯ শতাংশ। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা যতই বড় দেখাক না কেন ভাইরাসকে হারিয়ে সেরে ওঠার সংখ্যাটাও কিন্তু বিরাট। এদিন ড.হর্ষবর্ধন আরো বলেন, রোজই রেকর্ড সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন ঠিকই, তবে হাসপাতালে এখন করোনা রোগীর সংখ্যা আগের থেকে প্রায় কুড়ি শতাংশ কম। তিনি আরো জানান, ২০২১ সালের শুরুর দিকেই করোনার টিকা এদেশে পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে রাশিয়া করোনা টিকার দশ কোটি ডোজ ভারতে পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। ফলে আগামী দিনে আর ভারতে মহামারী পরিস্থিতি এতটা খারাপ থাকবে না বলে সংসদে দাবি করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।